স্বপন বিশ্বাস (মাগুরা) প্রতিনিধি: টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে মাঠভরা ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। কারো ধান পানির নিচে, কেউ আবার ধান বয়ে সারি দিচ্ছেন নিকটতম রাস্তার পাশে, কেউ কেউ শুধু ধানগুলো বাড়ি আনতে মাঠেই শুরু করেছে মাড়াইয়ের কাজ। মাঠ ভরা সোনালী ফসল যেন এখন কৃষকের পথের কাঁটা। কৃষাণের দ্বিগুণ মূল্য দিয়েও কলানো (চারা বের হয়েছে এমন) ধান বয়ে আনছেন বাড়িতে। অনেকে আবার ধান-খড় শুকাতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিচ্ছেন বাড়ির পাশ্ববর্তী পাকা রাস্তার উপরে যাতে ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। আজ শুক্রবার (১৩ মে) উপজেলার ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের কালীবাড়ি, থৈপাড়া, গোবিন্দপুর, খিলগাতি, বরইচারা, নরপতি, সেওজগাতিসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। কৃষকদের বোবা কান্নায় নির্বিকার পুরো পরিবার। ধানের মধ্যেই রয়েছে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া সহ পরিবারের ভোরণ-পোষণের খরচ। এমনই একজন ভুক্তভোগী কৃষক রতন বিশ্বাস। তিনি বলেন ধানকাটা শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিয়ে যে ধান অবশিষ্ট থাকবে তা বিক্রি করে সার-ঔষুধের টাকাই হবে না পরিবারের ভরণপোষণ তো দূরের কথা। অপর এক ভুক্তভোগী কৃষক স্বপন বিশ্বাস বলেন, এ আবাদে ৬ একর জমিতে ধান চাষ করেছি তার অধিকাংশ নিচু জমিতে হওয়ায় তা তলিয়ে ধানগুলো থেকে চারা বেরিয়ে এসেছে। সেগুলো বিক্রি করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, এ বছর উপজেলার মোট ১৩ হাজার ৫ শত ৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে যার ৬০ শতাংশ ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উপজেলা ধনেশ্বরগাতী, খিলগাতি থৈপাড়াসহ কিছু এলাকার ধান পানিতে তলিয়ে গেছে এ বিষয়ে আমরা আমাদের অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারের সহযোগিতা পেতে পারেন। এছাড়াও কৃষকদের যেকোনো সমস্যায় উপজেলা কৃষি অফিস সর্বদা পাশে থাকবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.