গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরের এই বাগানবাড়িতে শুক্রবার সকালে অভিযান চালায় ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী
প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের ভারতে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এসব সম্পত্তির সন্ধান মেলার পাশাপাশি পিকে হালদারের ঘনিষ্ট বেশ কজনের নামও উঠে এসেছে। তাদের মধ্যে একজনকে আটকও করা হয়েছে।
পিকে হালদারের পাচার করা অর্থে ভারতে কেনা বিভিন্ন সম্পত্তি দেখভালে থাকা যে কজনের নাম আসছে তাদের মধ্যে আছেন সুকুমার মৃধা, তার জামাতা সঞ্জীব হাওলাদার, পিকে হালদারের আত্মীয় প্রণব কুমার হালদার ও স্বপন মিত্র।
জানা গেছে, সুকুমার মৃধা উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরে মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তবে তিনি নিজেকে পিকে হালদারের ক্লায়েন্ট হিসেবে পরিচয় দিতেন। সুকুমারের মেয়ে অনিন্দিতা মৃধার স্বামী সঞ্জীব হাওলাদার। তিনি বাংলাদেশি নাগরিক।
পিকে হালদারের ভাই এনআরবি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত প্রীতিশ হালদার অশোকনগরে তার নামে একটি বিলাসবহুল বাগানবাড়ি কেনেন। দুই বছর আগে বাড়িটি সুকুমারের নামে হস্তান্তর করেন প্রীতিশ। ওই বাড়িতেই থাকতেন সুকুমারের মেয়ে অনিন্দিতার স্বামী সঞ্জীব।
শুক্রবার সকালে ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) একযোগে কলকাতাসহ অশোকনগরের অন্তত নয়টি জায়গায় অভিযান চালায়। অশোকনগরে পিকে হালদার চক্রের আরেক সহযোগী স্বপন মিত্রের বাড়ি থেকে অর্থ পাচার সংক্রান্ত একাধিক নথিও জব্দ করেছে তারা। পরে দীর্ঘ জেরার পর তাকে আটক করে ইডি।
ইডির তদন্ত সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন এক প্রতিবেদনে বলেছে, অশোকনগরের ভারতী ক্লাব এলাকার সুকুমার মৃধা পিকে হালদারের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ট। বাংলাদেশ থেকে পিকে হালদারের লুট করা অর্থ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিপুল সম্পত্তি ক্রয়ে সুকুমারের যোগসাজশ রয়েছে।
ইডি অভিযান চালিয়েছে নবজীবন পল্লীর প্রণব কুমার হালদারের বাড়িতেও। পিকে হালদারের ঘনিষ্ট প্রণবের অশোকনগরের বিল্ডিং মোড় এলাকায় রয়েছে আরেকটি বিলাসবহুল বাগানবাড়ি। প্রণব ও তার দুই ছেলে মিঠুন হালদার ও বিশ্বজিৎ হালদারকেও জেরা করেছে ইডি।
নিউজ এইটিন বলছে, বেশ কয়েকবছর আগে কয়েক কাঠা জায়গার ওপরে বিলাসবহুল বাগানবাড়িগুলো তৈরি করা হয়। সুকুমার, প্রণব, স্বপন- এরা প্রত্যেকেই পিকে হালদারের পাচার করা অর্থে হঠাৎ বড়লোক হয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষের মনেও ছিল নানা প্রশ্ন।
বাংলাদেশ থেকে পিকে হালদারের পাচার করা টাকায় অশোকনগর, কলকাতা ছাড়াও দিল্লি, মুম্বাইসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে সুকুমার মৃধার যোগসাজশে বিভিন্ন সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে ধারণা ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর। সঞ্জীব, স্বপন ও প্রণবকে জেরা করে সেই সম্পত্তির হদিস খুঁজছে তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.