যশোর প্রতিনিধি : যশোরের বিশিষ্ট সাংবাদিক শিকদার খালিদকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে দৈনিক লোকসমাজের বার্তা সম্পাদক সিকদার খালিদকে। যশোরের শহরতলী বিরামপুরের আলোচিত সন্ত্রাসী হাঁস লিটন ও তার লোকজন এই হত্যা চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। ডাক্তার জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশংকাজনক।
তাকে লোহার রড ও বাঁশ দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ সন্ত্রাসী হাঁস লিটন চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে। তবে পালিয়ে গেছে হাঁস লিটন সহ তার প্রধান সহযোগী বারান্দীপাড়ার তৌহিদ। তবে আটকের সত্যতা স্বীকার করেননি কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ। তিনি জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী কিংবা তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিকদার খালিদ জানিয়েছেন, হাঁস লিটন সন্ত্রাসী হলেও তার পূর্ব পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে সে নানা বিষয়ে তার পরামর্শ নিত। হাঁস লিটনকে ভাল পথে আসতে পরামর্শ দিত খালিদ। সম্প্রতি সে বিপদে পড়েছে মর্মে বার বার ফোন করে খালিদকে। এক পর্যায়ে ৬ মে রাত ৯ টার দিকে অনুনয় বিনয় করে হাঁস লিটন ফোন দেয় খালিদকে। ফোন পেয়ে বিরামপুরের হাঁস লিটনের বাড়িতে যান। এরপর হাস লিটন তাকে বাড়ির দোতলায় নিয়ে যায়। এরপর কথা বার্তা চলার সময় হাঁস লিটনকে ভাল পথে আসতে পরামর্শ দেন।
এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে হাঁস লিটন তার উপর চড়াও হয়। সাথে যোগ দেয় তার অপর সহযোগী বারান্দীপাড়ার তৌহিদ। তারা বাঁশের লাঠি লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এরপর দোতলা থেকে ফেলে দেয়। এতে তার পা ভেঙে যায়। এরপর তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার শলা-পরামর্শ করে সন্ত্রাসী হাঁস লিটন। এসময় সিকদার খালিদের চিৎকারে ও গোঙানিতে স্থানীয়রা ছুুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে তিনি সুস্থ হয়ে থানায় মামলা দেবেন বলেও জানান।
এদিকে, ঘটনার ব্যাপারে প্রেসক্লাব যশোরের নেতৃবৃন্দ রাতেই হাসপাতালে যান এবং খোঁজখবর নেন। এছাড়া থানায় যান এবং ঘটনায় জড়িতদের আটকের দাবি জানান। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান শুরু করে। সন্ত্রাসী লিটনসহ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চলে। এসময় সন্ত্রাসী লিটন ও তার সহযোগী তৌহিদ পালিয়ে যায় অভিযানের আগেই। তবে পুলিশ হাঁস লিটন চক্রের ৫ জনকে আটক করে বলে স্থানীয়রা জানান।
এ ব্যাপারে ৭ মে রাতে কথা হয় যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, এখনও লিখিত এজাহার পাওয়া যায়নি। খালিদ কিংবা তার পরিবারের কাউকে অভিযোগ করতেও আহবান জানান তিনি। কেউ আটক আছে কিনা এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আ ন ম বজলুর রশিদ টুলু জানিয়েছেন, খালিদের মাথায় আঘাত লেগেছে। একটি পা ভেঙে গেছে। শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার অবস্থা গুরুতর।
এদিকে ওই রাতে খালিদের উপর হামলার ব্যাপারে আরো কয়েকটি নানামুখি তথ্য এসেছে। সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। থানা পুলিশসহ আরো একটি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা মাঠে নেমেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.