মোঃ রুবেল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ সাপ্তাহিক, মে দিবস ও ঈদুল ফিতরের কারণে দেশে টানা ছয়দিন সরকারি ছুটি থাকছে দেশসেরা স্থলবন্দর বেনাপোলে। একদিন অফিস খোলা থাকার পর আবার দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। এতে ৯ দিনের বন্ধের ফাঁদে পড়ছে বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি। তবে এ ছুটিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। শুক্র ও শনিবার (২৯-৩০ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি, ১ মে শনিবার মে দিবস ও ২ মে থেকে ৪ মে পর্যন্ত ঈদের ছুটি। এতে টানা ছয়দিন বন্ধ থাকবে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম।
৫ মে বৃহস্পতিবার আমদানি-রফতানি চালু হবে। তবে কাস্টমস ও বন্দর খুললেও কোনো পণ্য খালাসের সম্ভাবনা নেই। এরপর ৬-৭ মে সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসেবে ৮ মে থেকে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এ বন্দরে। ওইদিন সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলবে।
এমদাদুল হক লতা জানান, ২৮ এপ্রিল বিকেল থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। এছাড়া সরকার ঈদের তিন দিন আগে পরে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর থেকে কোনো পণ্য খালাসও হবে না। অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বাড়িতে যাবেন। তারা ঢাকা ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো পণ্য খালাস নিবে না। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ৫ মে ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। এ কারণে সব মিলিয়ে ৯ দিন ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে বেনাপোল বন্দর। আগামী ৮ মে থেকে পুনরায় বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু জানান, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভিড় হয়ে থাকে। ফলে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, ২৮ এপ্রিল বিকেল থেকে ঈদের ছুটি। এ সময় ছুটিতে বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৫ মে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হলে সে পণ্য আনলোড করা হবে। ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি বলা হয়েছে। আগামী ৮ মে থেকে বন্দরের কর্ম তৎপরতা বাড়বে।
বেনাপোল পোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম রসুল বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে এজন্য বিশেষ নজরদারি নেয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.