নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি বলে যে একটা রাজনৈতিক দল আছে সেটার শুরুটাই কিন্তু হয়েছিল অন্ধকারের মাধ্যমে। সুতরাং তার পক্ষে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলা এটা কোনভাবেই আশা করা যায়না। বিএনপি-জামায়াত বিগত কিছু সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে নেগেটিভভাবে তুলে ধরার জন্য ব্যাপকভাবে মিথ্যাচার ও প্রোপ্যাগান্ডা চালাচ্ছে। অনলাইনে বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউবে তারা সব পেইড এজেন্টদের মাধ্যমে তৎপরতা বাড়িয়ে এই কাজ গুলো করছে।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৬৮৪তম পর্বে রবিবার (২৪ এপ্রিল) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ড. শ্রী বীরেন শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ দূত, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি-উর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

ড. শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, আজকে ভোরের পাতা লাইভ সংলাপে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভোরের পাতা কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকের এই দিনে আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যে মহামানবের অবদানে আজ আমরা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৫ আগস্টের সেই কালরাতে তাঁর পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাতবরণ করেছিলেন। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে, গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ ইজ্জতহারা মা-বোনদের। আজকে ভোরের পাতা যে আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করেছে সেটা আসলেই অনেক সময়োপযোগী। কারণ অতি সম্প্রতি একটা বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে যে, বিএনপি-জামায়াত বিগত কিছু সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে নেগেটিভভাবে তুলে ধরার জন্য ব্যাপকভাবে মিথ্যাচার ও প্রোপ্যাগান্ডা চালাচ্ছে। অনলাইনে বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউবে তারা সব পেইড এজেন্টদের মাধ্যমে তৎপরতা বাড়িয়ে এই কাজ গুলো করছে। তাছাড়া তাদের নিজেদের মধ্যেই কোন্দল দেখা যাচ্ছে অনেক দিন ধরে। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড না থাকায় মূল ধারার রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছে তারা। তৃণমূল থেকে শুরু করে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল- সব জায়গায় কাজের চেয়ে গ্রুপিং হচ্ছে বেশি। বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করতে গল্প-গুজব আর মিথ্যাচারকেই বেছে নিয়েছে তারা। কিন্তু তারা এতে করে যে দেশের ক্ষতি করছে এটা তারা ভালভাবেই বুজতে পারছে কিন্তু তারা সেটা থেকে কোনভাবেই নিজেদের বিরত রাখছে না। বিএনপি-জামায়াতের লক্ষ্য অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা। অপপ্রচার করে বিএনপি দেশের মানুষকে বিপদে ফেলার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। এসব গুজবের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাইকে সক্রিয় হতে হবে। শুধু রাজপথে স্লোগান নয়, সাইবার অ্যাটাক হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।