বিল্লাল হোসেন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় মেদুয়ারী ইউনিয়নের নিঝুরী গ্রামে অবস্থিত বনরুপা আদর্শ'গ্রাম আশ্রয় কেন্দ্র (স্থাপিত হন, ১৯৮৬ সালে )। ২০ জন হতদরিদ্রদের নামে। পরবর্তীতে লোহাবই মৌজাকৃত সাবেক (৩৮,৮৫,৮৮ দাগে) সর্বমোট জমি ১১.৪৮ শতাংশ) ২০ জন ভূমিহীন দেওয়া হয়। প্রতি আশ্রয়হীনদের নামে ৭২ শতাংশ জমি ও একটি ঘর তুলে দেন সরকার কর্তৃক। অতঃপর প্রতি আশ্রয়হীনদের নামে জেলা প্রশাসক কর্তৃক তাদেরকে কাগজ করে দেওয়া হয়েছে। দখল মূলে (১৯৯২,৯৩ সনে) যার যার নামে বি আর এস রেকর্ড ভুক্ত হন, ৪৩ শতাংশ করে। বর্তমান মালিক ও দখলে রয়েছেন ৪৩ শতাংশ। বাকি দুই একর ৮৮ শতাংশ জমি আশ্রয়হীনদের দখলের বাহিরে রযেছেন তারা। ওই দুই একর ৮৮ শতাংশ জমি হদিস নেই। এতে আশ্রয়হীনদের মাঝে তৎপরতা নেই। বাকি দুই একর 88 শতাংশ জমি কোথাই আছে, বা-কাদের দখলে রয়েছে তা-ও খোঁজ নেননি তারা এবং নেওয়ার আগ্রহ নেই তাদের। ওই জমি সরকার থেকে পাওয়া যেটুকু আছে তাই নিয়েই বসবাস করছেন তারা। তবে সুশীল সমাজ বলছেন সরকার কর্তৃক ভূমিহীন দেওয়া। অতঃপর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তৎপরতা নিবেন। কে ক্রয় করেছেন এবং কারা ক্রয় করছেন কে বিক্রয় করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে। তালিকা উপজেলা সহকারী কর্মকতা ও এডিসি এবং ডিসি বরাবর তালিকা দাখিল করা উচিত বলে ধারণা দেন। এভাবেই চলছে বনরুপা আদর্শ গ্রামের ভূমিহীনদের চলমান জীবন।

এদিকে জমির মূল্য দ্বিগুণ হওয়া বর্তমান নিঝুরী গ্রামে অবস্থিত আশ্রয় কেন্দ্রের জমি ও ঘরসহ সরকার দেওয়া ভূমিহীন কেন্দ্র হচ্ছে ফাকা। এমনকি বিক্রয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বনরুপা আদর্শ'গ্রাম গঠিত ২০ সদস্য কমিটির সভাপতি আব্দুল মোতালেব স্বীকার করে বলেন, হ্যাঁ অনেকেই বিক্রয় করেছে এবং করছেন এমনকি আমিও বিক্রয় করেছি।

মেদুয়ারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকতা জানান, শুনেছি অনেকে কিনেছে এমনকি আমার কাছে আসছিল নাম খারিজ করতে না করে দিয়েছি।

ভালুকা উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকতা জানান, এ জমি বিক্রয় অযোগ্য তবে এধরনের কাজ করে থাকে প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।