খুলনা, খুলনা বিভাগ, জেলার খবর | তারিখঃ এপ্রিল ২০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 6216 বার
ডেস্ক রিপোর্ট : জেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় 5 জন ছুরিকাহত হয়েছে। আহতদের খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনা ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদিমুজ্জামান জনি, ডুমুরিয়া থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ গোলদার, জিসাস জেলা সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব উদ্দিন দারা, তেরখাদা থানা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু বিল্লাহ ও কয়রা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ বিল্লাহ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানিয়েছেন, খুলনা ক্লাবে জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলে ইফতারির প্যাকেট বণ্টন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নগর ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের কতিপয় নেতার মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রকাশ্যে নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি যুবদল নেতাদের দেখে নেবার হুমকি দিয়ে ইফতার না করেই স্থান ত্যাগ করেন। ইফতারের কিছুক্ষণ পরে জনি একা ক্লাবে প্রবেশ মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এ সময় ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেল ক্লাবের গেটের মুখে থামিয়ে জনির ওপর আক্রমণ করে। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পেটে আঘাত করে। পরে তাকে ঠেকাতে গিয়ে আরও চারজন আহত হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়। ইফতার মাহফিলে এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে, এমন ধারণাই ছিল না। এখনো কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দাখিল করেনি। তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- জেলা বিএনপির ইফতার পরবর্তীতে খুলনা ক্লাবের সামনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবদলের পাঁচজন নেতা গুরুতর জখম হয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপির বিবৃতিদাতারা হলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী ও যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, খুলনা জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলের পর খুলনা ক্লাব থেকে বের হচ্ছিলেন যুবদল নেতৃবৃন্দ। এ সময় ১৫/২০টি মোটরসাইকেলে ৪০ থেকে ৫০ জন ধারাল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদিমুজ্জামান জনি, যুবদল নেতা তৌহিদউদ্দিন দারা, রাজিব, ডুমুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহাগ গোলদার ও কয়রা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অলিদকে।
সন্ত্রাসীদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন তারা। পরে তাদের উদ্ধার করে খুলনা জেনারেল ও খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।