স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে এক মধ্যবয়স্ক দুই সন্তানের জননীর বিরুদ্ধে ।
জানা গেছে গত ১৪/০১/১৯ইং তারিখে চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা গ্রামের মৃতঃ আব্দুল হামিদের তৃতীয় মেয়ে মোছাঃ সেলিনা বেগম (৩৬) একই উপজেলার রুবেল হোসেন (২৪) কে উচ্চ পদে ভালো চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাগজপত্র আনতে বলে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে চাচাতো ভাই লিখন ও চাচাতো বোন রাফেজা এবং চাচা বিয়ের কাজী হারুনের সহযোগিতায় অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে জোরপূর্বকভাবে বিয়ে করতে বাধ্য করে, তারপর থেকে সেলিনা ঐ যুবকের সাথে ঘর সংসার করার জন্য মামলা করার ভয়ভীতি দেখানোসহ আত্মহত্যা করে যুবককে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করতে থাকে,
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পূর্বে সেলিনা বেগমের যশোর সদর উপজেলার বাঘডাঙ্গা গ্রামে বিয়ে হয়েছিল, তার স্বামীর নাম রবিউল ইসলাম, সেখানে সে দীর্ঘ এগারো বছর সংসার করেছে, সেই ঘরে তার এক মেয়ে হাজেরা খাতুন (১৭) ও এক ছেলে সাব্বির (১০) রয়েছে। ভুক্তভোগী রুবেল হোসেন বলেন, ময়মনসিংহে চাকুরীরত অবস্থায় একটি পোশাক কারখানায় সেলিনার সাথে তার পরিচয় হয় এবং সেলিনা সেখানে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পিয়ন হিসাবে কাজ করতো সে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করতো এবং আমার সাথে একই এলাকার মানুষ হিসাবে চাকুরী করার ক্ষেত্রে আমার সাথে পরিচিত হয়েছিল সেই সূত্রে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গেলে সে আমাকে ভালো চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে আটকে দেয় এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে জোরপূর্বক বিয়ের ফাঁদে ফেলে, তারপর থেকে সে আমার নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি ও মানহানি করার ভয়ভীতি দেখানোসহ আত্মহত্যা করে আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে, আমি তাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি এবং বলি বিয়েটা কখনও আমার পরিবারের কেউ মেনে নেবে না আমাকে নিয়ে আমার মা বাবার একটা সপ্ন আছে আমি এক বাপের একটাই ছেলে, কিন্তু সে আমার কোন কথায় শোনেন না, বিয়ের পর থেকে সে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় তাকে ঘর ভাড়া করে রাখতে বাধ্য করে এবং তার সমস্ত খরচ খরচা বহন করতে বলে। বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে আমি কাউকে জানাতে পারিনি, ভুক্তভোগী রুবেল আরও বলেন, সেলিনা পরকীয়া প্রেমে আসক্ত সে আমাকে জোরপূর্বক বিয়ে করেও বিভিন্ন পুরুষদের সাথে পরকীয়া করে।
সে গত ০৮/০৩/২০২০ ইং তারিখে লকডাউনের সময় আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং আমার নামে মিথ্যা মামলা করার চেষ্টা করে, আমি তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে একপর্যায়ে জানতে পারি সে গাজীপুরের শ্রীপুরে মাষ্টারবাড়ী এলাকায় রয়েছে কিন্তু কোথায় আছে সঠিক ঠিকানাটা সে আমাকে দেয় না, অনেক খোঁজাখুজির পরে জানতে পারি সে নেত্রকোনার একটি ছেলের সাথে মাষ্টারবাড়ী এলাকার কেওয়া দক্ষিণ খন্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর জিলাল উদ্দিন দুলালের ভাই শিরুর বাসায় বিয়ে না করে স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে ৬ মাস যাবৎ স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করছে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি এবং সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে সে আমার নামে মিথ্যা মামলা করে আমাকে হয়রানি করাসহ মানহানি করার চেষ্টা করছে, আইনের প্রতি আমার যথেষ্ট সম্মান রয়েছে তাই আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে শ্রীপুর থানার এস আই হারুন অর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছিলাম আত্মাসাৎ করা ৩৫ হাজার টাকার মথ্যে ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করতে পেরেছিলাম।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করে, ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে রাজি না হওয়ায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.