নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। ফিরেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি। একইসঙ্গে সংবিধানে গণভোটের বিধান ফিরিয়ে এনেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রায় দেন।
এদিন বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রুলের বিষয়ে রায় দেন আদালত।
বেঞ্চের কার্যতালিকায় আজ এক ও দুই নম্বরে ছিল এ বিষয়ক পৃথক দুটি রিট।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি গত আগস্টে রিট করেছিলেন। অন্য চার আবেদনকারী হলেন– তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
রিটে পঞ্চদশ সংশোধনী স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক শুনানির পর গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
গত ২০ অক্টোবর জারি করা রুল শুনানিতে তুলতে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে উত্থাপন (ম্যানশন) করে রিট আবেদনকারী পক্ষ।
২৮ অক্টোবর পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল সমর্থন করে তাতে ইন্টারভেনার (সহায়তাকারী) হিসেবে যুক্ত হতে আবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব। ওই দিনই তার আবেদনটি মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর একই আবেদন করে রুলে যুক্ত হন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এছাড়া এতে আবেদন করে আরও যুক্ত হয়েছেন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত।
গত ৪ ডিসেম্বর এসব আবেদনের শুনানি শেষ হয়। পরদিন ৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.