আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যথাযথ চিকিৎসা সেবা না পেয়ে সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মোঃ নাজিম উদ্দীন (৫০)।
লিখিত অভিযোগে নাজিম উদ্দীন জানান, গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় তিনি পেট ব্যাথা, জ্বর, হাত পা অবশ হয়ে আসার সমস্যা নিয়ে জরুরী বিভাগে আসলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ভর্তি করে দেন এবং কোনোরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই একটি স্যালাইন দেন। স্যালাইন দেবার পরে তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে এবং হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। সেসময় তিনি নার্সদের বারবার ডাকলেও কেউ তার কাছে আসেনি। এমনকি স্যালাইন শেষ হয়ে গেলেও তারা সেটা খুলে দিতে আসেনি। রুগী নিজে উঠে গিয়ে নার্সদের রুম থেকে স্যালাইন খুলে নিয়ে আসেন। এভাবে সারাদিন কেটে যাওয়ার পর রাতের বেলা দায়িত্বরত ডাক্তারকে কয়েকবার ডাকার পরে তিনি আসেন কিন্তু রুগীর শারীরিক অবস্থা অবনতির কথা জানালে তিনি তাতে কোনো গুরুত্বারোপ না করে নার্সরা ঔষধ দেবেন বলেন। নার্সদের কাছে গিয়ে একথা জানালে তারা নীচতলার জরুরী বিভাগে যেতে পরামর্শ দেন। এমতাবস্থায় তিনি সহ্য না করতে পেরে ঘটনা পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা রুগীকে ছাড়পত্র দিতে বলেন। কিন্তু তখনও কতৃপক্ষ ছাড়পত্র না দিয়ে রুগী না বলে চলে গেছে এরকম একটা কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন। পরবর্তীতে একজন রাজনৈতিক নেতা ফোন দিলে রুগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নাজিম উদ্দীন কিছুটা সুস্থ হয়ে গত ১৪ নভেম্বর যশোর জেলা সিভিল সার্জন এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের হাসপাতালে জনবল সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছ। তার ওপর এখন ইউএইচএফপিও নেই। ডাক্তারদের রাতদিন ২৪ ঘন্টা ডিউটি করতে হচ্ছে। এজন্যই হয়তো সমস্যা হয়েছে। তিনি এই প্রতিবেদককে ঐ রুগীকে তার কাছে পাঠাতে বলেন।
উল্লেখ্য ৪ লক্ষ মানুষের ভরসাস্থল ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের অন্ত নেই। ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বারবার খবর প্রকাশিত হলেও কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.