আদালত প্রতিবেদকঃ নিজ পিতা-মাতার স্থানে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ফুফু আর ফুফার নাম ব্যবহার করে ১৯৯৬ সাল থেকে গত ২৮ বছর করে পুলিশে চাকরি করছেন মো. সাইফুল ইসলাম হাওলাদার (বাদল) ওরফে মো. সাইফুল ইসলাম।
এমন অভিযোগ এনে সাইফুল ইসলামের সেই ফুফুর ছেলে মো. সালাহ উদ্দিন ঢাকার চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলার আবেদন করেছেন।
গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ দিথি বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
১৯৯৬ সালে পুলিশ কন্সটেবল পদে চাকরি নেওয়া সাইফুল ইসলাম বর্তমানে রাজধানীর মিরপুর পুলিশ লাইনে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত আছেন।
মো. সালাহ উদ্দিন মামলায় অভিযোগ করেন, আসামি সাইফুল ইসলাম বাদীর মামাতো ভাই। বাদীর বাবা মো, শাহজাহান পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। গত ২৩ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর সম্পত্তির সংক্রান্তে বিষয়ে গত ১৪ অক্টোবর পিরোজপুরের কাউখালী থানার রঘুনাথপুর গ্রামে মামা বাড়িতে ওয়ারিশ সনদপত্র সংগ্রহ করতে যান। সেখানে বাদী তার নিকটাত্মীয়দের কাছে জানতে পারে মামাতো ভাই সাইফুল ইসলাম হাওলাদার (বাদল) জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বাদীর পিতা-মাতার নাম নিজ পিতা-মাতা ও ঠিকানা ব্যবহার করে ১৯৯৬ সাল থেকে পুলিশের চাকরিতে রয়েছেন। আসামি তার জন্ম সনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদেও বাদীর পিতা-মাতার নাম নিজ পিতা-মাতা হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
পরবর্তীতে মামলার বাদী ঢাকায় এসে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে আসামি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ নিয়ে বাদী বাড়াবাড়ি করলে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলা ও অন্যান্য মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মীর আলমগীর হোসেন জানান, আসামি হচ্ছে এ মামলার বাদীর আপন মামাতো ভাই। ১৯৯৬ সালে বাদীর পিতা-মাতা ও ঠিকানা ব্যবহার করে পুলিশের চাকরি করছে। সে এর মাধ্যমে রাষ্ট্রর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমরা তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য মামলাটি করেছি।
মামলার বাদী সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমার মামাতো ভাই আমার পিতা-মাতার পরিচয়ে পুলিশের চাকরি নিয়েছে জানতে পেরেছি। এখন সে আমাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। অথচ সে আমার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সব জায়গায় আমার বাবা-মায়ের পরিচয়ে পরিচিত হয়েছে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.