যশোর অফিস : যশোরে ‘বৈষম্যবিরোধী সনাতন সমাজ’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এর আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি দে। এ সময় তিনি বলেন, সনাতন সম্প্রদায়ের বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যেই বৈষম্যবিরোধী সনাতন সমাজ, যশোর গঠন করা হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ১০১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই সংগঠন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৈষম্য নিরসনে কাজ করবে।
মৃণাল কান্তি দে অভিযোগ করেন, ইতিপূর্বে পূজা উদ্যাপন পরিষদের কতিপয় শীর্ষ নেতার দ্বারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাঁরা জোর করে দখল করেছেন মুড়লীর শ্রী শ্রী জোড়া শিব মন্দির, যশোর শহরের বড়বাজার শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী পুরোনো কালী বাড়ি মন্দির, লালদিঘির পাড়ের শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দির, নীলগঞ্জ মহাশ্মশান, রাজারহাট শ্মশানসহ আরও অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব।
মৃণাল কান্তি দে আরও বলেন, পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্বার্থ সংরক্ষণ না করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করেছেন। বর্তমান জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এই সংগঠনের কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে মন্দির, শ্মশান দখল, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য বিকল্প সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বৈষম্য নিরসনের জন্যই নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী সনাতন সমাজের সদস্যসচিব অধ্যাপক অখিল কুমার চক্রবর্তী, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার ঘোষ, সুজিত কুমার কাপুড়িয়া, অধ্যাপক গোপীকান্ত সরকার, অধ্যাপক সুশীল কুণ্ডু, অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র রায়, বিষ্ণুপদ সাহা, অমল অধিকারী, অনুপমা মিত্র, পরিমল মজুমদার প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.