নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্ট দালালি ও চাঁদাবাজির সুমন হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেছেন বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার দুপুরে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শাহিদা শারমিন।
সুমন হোসেন বেনাপোলের তাহাজ্জত হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সুমন দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্ট দালালি ও বন্দরের বিভিন্ন শেড ইনর্চাজের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছেন। কাস্টমস হাউজের বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীকে নানাভাবে হয়রানি ও তাদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। তিনি বন্দরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বন্দরে প্রবেশ করে পাসেপার্ট যাত্রীদের লাইন ছাড়া দ্রুত ভারতে পার করে দেওয়ার কথা বলে ২/৩ হাজার করে টাকা আদায় করে আসছেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি গত ২ সেপ্টেম্বর পোর্ট থানায় দায়ের করলেও অদৃশ্যকারণে মামলাটি বুধবার দুপুরে এন্ট্রি করা হয়।
বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুর সজিব নাজির জানান, সুমন দীর্ঘদিন বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্ট দালালি করে আসছিলেন। বন্দরের নিরাপওা কর্মীরা বাধা দিলে তাদের ধাক্কা দিয়ে বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করে পাসপোর্ট দালালি ও ল্যাগেজ পার্টি পার করে মোটা অংকের অর্থ আয় করে আসছিলেন তিনি। আনসার সদস্যরা বিষয়টি বন্দরের পরিচালক রেজাউল ইসলামকে অবহিত করেন। পরে পরিচালক তাকে বন্দরের অভ্যন্তরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সুমন।
বন্দরের পরিচালক রেজাউল ইসলাম জানান, গত ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়াম্যান জিল্লুর রহমান বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে আসলে সুমন দলবল নিয়ে তাকে বন্দরের গেস্ট হাউসে ঘেরাও করে আটকে রাখেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সুমন ভক্ত জানান, বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ সুমন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত ২ সেপ্টেম্বর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত করে বুধবার দুপুরে অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহণ করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.