গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : তারিখটা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। আমেরিকার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের দিন। সন্ত্রাসী হামলার আজ ২৩ বছর পূর্তি।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনটি প্লেন হাইজ্যাক করে হামলা চালানো হয়। পেছনে ছিল জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা। দু'টি প্লেন হামলা চালায় টুইন টাওয়ারে, আরেকটি হামলে পড়ে পেন্টাগনে, হামলা হয় পেনসিলভানিয়াতেও। হামলা করার ইচ্ছা ছিল হোয়াইট হাউসেও। সেটা করা সম্ভব হয়নি। এই হামলায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। আহত হন ২৫ হাজারেরও বেশি। । শেষ মুহূর্তের ভয়ঙ্কর ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী ছিলেন সাংবাদিক বিল বিগগার্ট। তাঁর ক্যামেরায় তুলেছিলেন শেষ মুহূর্তের ছবি। এত বছর পরে ফের ভাইরাল সে ছবি।
ছবিটিতে চোখ রাখলে দেখা যাবে ওই সাংবাদিক টুইন টাওয়ার্সের ধসে পড়া ধ্বংসাবশেষের একটি ছবি তোলেন। দুঃখজনকভাবে এই ফ্রেমটিই তাঁর জীবনের তোলা শেষ সম্বল। নর্থ টাওয়ারে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে এবং কিছু পরেই সাউথ টাওয়ারে ৯টা ৩ মিনিটে আঘাত হানে দু'টি প্লেন। এতে আগুন ধরে যায় ওখানে। অনেক মানুষ আটকে পড়েন। পুরো শহর ধোঁয়ায় আছন্ন হয়ে পড়ে। দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ১১০ তলা ভবন মাটিতে ধসে পড়ে। এরপরে ৯টা ৩৭ মিনিটে আরেকটি প্লেন রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির মার্কিন সেনা সদর দফতরের বাইরে পেন্টাগনে বিধ্বস্ত হয়। ১০টা ৩ মিনিটে পেনসিলভানিয়ায় বিধ্বস্ত হয় চতুর্থ প্লেনটি। সে সময় টুইন টাওয়ারের কাছেই ছিলেন চিত্র সাংবাদিক বিগগার্ট। তিনি বরারবই ছিলেন দুঃসাহসিক।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাদারিত্ব দেখাতেন। এই ভয়াবহ ঘটনার সময় বিগগার্ট ফোনে কথা বলেছিলেন স্ত্রীয়ের সঙ্গে। তিনি প্রথমেই আঁচ করেছিলেন জঙ্গি নাশকতার ছক। তখন ধোঁয়ার মধ্যে তিনি স্ত্রীকে জানান, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়, সন্ত্রাসবাদের কাজ। তিনি দমকলকর্মীদের সঙ্গে আছেন বলেও আশ্বস্ত করেন স্ত্রীকে। তাঁর তোলা ছবি ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় জোর চর্চা। একজন সাংবাদিক ওই পরিস্থিতিতে পড়েও কীভাবে এত সুন্দর ও অর্থবহ ছবি তুলতে পারেন তা দেখে বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। ক্যাননের ডি ৩০ ক্যামেরায় মুহূর্ত ফ্রেমবন্দী করেছিলেন সাংবাদিক বিগার্ট। আজ ২৩ বছর পরও ওই ছবি একেবারে জীবন্ত।
সূত্র: ইন্ডিয়া ব্লুম
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.