গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে নজরুল মিয়া : নাব্য সংকটে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাটে বুধবার ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নদী পার হতে না পেরে সকাল থেকে দিনব্যাপী ঘাটে ছয় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘাট থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার মহাসড়কজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। এতে যাত্রী, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের চালক এবং সংশ্লিষ্টরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
বিকালে সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়- দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা যায়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দূরপাল্লার যাত্রীবাস ও পচনশীল দ্রব্যের ট্রাকগুলো ফেরি পারাপার হতে পারলেও অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলো সিরিয়ালে আটকা পড়ে।
পরিবহন যাত্রী মজনু মিয়া জানান, ফেরিঘাটে দীর্ঘ ৪ঘন্টা অপেক্ষা করার পর ফেরীতে উঠার অপেক্ষায়। এবার ফেরী আসলেই আমাদের পরিবহন ফেরীতে উঠবে।
পণ্যবাহী ট্রাক চালক জালাল উদ্দিন বলেন, বার রাত ২টার দিকে তিনি দৌলতদিয়া ঘাটে আটকা পড়েছেন। ঘাট থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে তিনি এখনো অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবারও ফেরির নাগাল পাব কিনা বলা মুশকিল।
কাভার্ডভ্যানচালক আলম সরদার বলেন, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ঘাটে এসেছেন। বিকাল ৫টায়ও তিনি ঘাটে পৌঁছতে পারেননি। কেবল দৌলতদিয়া তেল পাম্পের বরাবর এসেছি। জানি না কখন ফেরি পাব। সময়মতো মালামাল পৌঁছাতে না পারলে খরচ বাড়ে। এর কারণে মালিকদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে প্রতিনিয়ত কথা কাটাকাটি হয়। এভাবে আর ভালো লাগে না।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বালিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, এ নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু নদীতে নাব্য সংকটে ফেরি চলাচলে বেশি সময় লাগছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গাড়ির চাপও রয়েছে। তবে দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী গাড়ি ও পচনশীল মালবোঝাই গাড়িগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। ফলে অপচনশীল পণ্যবাহী যানবাহন বেশি আটকা পড়ছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে পার করা হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এ নৌরুটে ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.