রাসেল আহমেদ, খুলনা জেলা প্রতিনিধি : খুলনার তেরখাদা উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন খাল-বিলে অবাধে পোনা ধরছে জেলেরা। সাধারণ মানুষও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। এর ফলে মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পায় না। তাই দিনদিন কমে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ।
উপজেলার ভুতিয়ার বিল, বাসুয়াখালী বিল ও কোলা বিলসহ বিভিন্ন বিল ও খালে নিষিদ্ধ ট্রেন ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করে অবাধে দেশীয় মাছ শিকার করছেন মৎস্যজীবীরা। ফলে বিলুপ্তির চরম হুমকিতে রয়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। এ সব খাল-বিলে প্রতিদিনই মাছ ধরার দৃশ্য চোখে পড়ছে। জেলেরা রাতে অবৈধ জাল পেতে রেখে পরদিন ভোরে জাল উঠিয়ে মাছ ধরে। তাদের জালে শুধু মাছই নয়, নানা রকম জলজ প্রাণীও রক্ষা পাচ্ছে না। এমনকি ছোট ছোট মাছও ছেঁকে তোলা হয় জাল দিয়ে। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে কই, শিং, ট্যাংরা, শৈল, গজাল, টাকি ইত্যাদি। মাছের সঙ্গে কাঁকড়া, কুচিয়া, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ছাড়াও পানিতে বাস করা বিভিন্ন প্রজাতির উপকারী পোকা মাকড়ও জালে আটকে যাচ্ছে। ডাঙায় তুলে এসব প্রাণী ও পোকামাকড় মেরে ফেলে মাছ শিকারিরা।
চায়না ও ট্রেন জাল এক থেকে দেড় ফুট প্রস্থ ও ৪০ থেকে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ক্ষুদ্র ফাঁস বিশিষ্ট হয়। একটি জালে ৪০ থেকে ৫০টি টোপ থাকে। বিশেষ কৌশলে জেলেরা এ জালের দুই মাথা খুঁটির সঙ্গে বেঁধে চেপে রাখে খাল বিল, নদী নালা ও জলাশয়ের তলদেশে। এই জালে ক্ষুদ্র ফাঁস থাকার কারণে ছোট বড় মাছ অনায়াসে জালে আটকে পড়ে। এতে মাছের পোনাও আটকা পড়ে। ফলে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন বংশ বিস্তার ব্যাহত হচ্ছে। এর প্রভাবে নদী-নালা, খাল-বিলে মাছের প্রাচুর্য কমে গেছে। উপজেলার নিচু জমি জলাশয়, নদী-নালা, খাল-বিলজুড়ে কারেন্ট জাল, ট্রেন জাল ও চায়না জাল ব্যবহার বন্ধ না হলে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা সদরের কাটেংগা, জয়সেনা, তেরখাদা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে অবাধে এসব নিষিদ্ধ জাল বিক্রি হয়। বাজারে চায়না নতুন জাল এসেছে। কারেন্ট জালে যে ছোট মাছ ধরা পড়েনি চায়না ও ট্রেন জালে সহজেই তা ধরা পড়ে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.