সারাবিশ্ব ডেস্ক : ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। উত্তর গাজায় ইসরায়েলের হামলার মুখে বুধবার (১০ জুলাই) ইসরায়েলি বিমান থেকে লিফলেট ছড়িয়ে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে বলা হয়।
তবে ফিলিস্তিনিরা বলছে, তাদের যাওয়ার মতো নিরাপদ কোনো জায়গা নেই। গাজার দক্ষিণেও বিভিন্ন স্থানে তারা হামলার মুখে পড়েছে। বাধ্য হয়ে বেশির ভাগ মানুষই তাই তাঁবুতে গাদাগাদি থাকছে। খবর আরব নিউজের।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গাজার মধ্য, দক্ষিণ এবং উত্তরে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এদিকে, কর্মকর্তারা কাতারে বসে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেনাবাহিনীর বিলিকরা লিফলেটে বলা হয়, গাজা সিটি থেকে দেইর আল-বালা এবং আল-জাওয়াইয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে শহর থেকে নিরাপদ এলাকায় যাওয়ার রাস্তা নির্দেশ করা হয়েছে। এই এলাকায় আসন্ন বিপদ সম্পর্কে ফিলিস্তিনিদের সতর্ক করে বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তাদেরকে সরে যেতে বলেছে।
ইসরায়েল গত ২৭ জুন শহরের একটি অংশে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। পরে আরো ২টি নির্দেশ জারি করে তারা। এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস শহরের নিকটবর্তী আল-কাবিরা শহরে এক স্কুল সংলগ্ন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
৯ মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান অভিযান এবং সীমান্ত অবরোধের কারণে খাদ্যসামগ্রীর প্রবেশ ও সরবরাহ ব্যবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে গাজায়। ইতোমধ্যে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে এবং খাদ্যের দুষ্প্রাপ্যতায় অপুষ্টি ও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৩ শিশুর। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের প্যানেল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস এবং মধ্যাঞ্চলীয় উপশহর দেইর আল-বালাতে অপুষ্টিজনিত কারণে বেশ কয়েক শিশুকে মৃত হয়ে। মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে অনেকেই। গাজার মধ্যাঞ্চলে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকার পরেও এই শিশুদের মৃত্যু গাজায় ছড়িয়ে পড়তে থাকা দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে বড় লক্ষণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.