কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ কপিলমুনিতে পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বিল করায়, এলাকার গ্রাহকদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে, ফলে পল্লী বিদ্যুতের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকেরা। ভুইফোঁড় এমন বিল যেন সকল গ্রাহকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, মে মাসের বিদ্যুৎ বিলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে কোন কোন মিটারে দ্বিগুন করা হয়েছে, আবার কোন কোন মিটারে প্রায় ৩ গুণ করা হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ একই পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হলেও অন্যান্য মাসের চেয়ে বিলে অনেক ব্যাবধান তারা মেনে নিতে পারছেন না। কপিলমুনি অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেও সুফল আসেনি, ফলে দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে বিদ্যুতের বাড়তি বিল যেন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। অনুপায় হয়ে তারা পকেট থেকে সেই বাড়তি বিল পরিশোধ করে পার পেয়েছেন। ফলে গ্রাহকদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোষ।
নগরশ্রীরামপুর গ্রামের এস্কেন্দার খোকন বলেন, এপ্রিল মাসে তার মিটারে বিল হয়েছিল ৩৮৭ টাকা, আর মে মাসে বিল হয়েছে ৯৮৩ টাকা। তিনি বলেন, এপ্রিল আর মে মাসের বিল ব্যাবধান অনেক। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেমত বিল করে দিল আর সেই বিল আমাদের গুনতে হচ্ছে। এম ডি আব্দুল হান্নান বলেন, তার মিটারে এপ্রিল মাসে বিল হয়েছিল ৬৯৬ টাকা, আর মে মাসে বিল হয়েছে ১৮৯৬ টাকা। এনামুল আহম্মেদ বলেন, তার মিটারে প্রতি মাসে ৫শ থেকে ৬শ টাকার ভিতরে বিল হয় আর মে মাসে ১২৬৯ টাকা হয়েছে। মামুদকাটী গ্রামের ভীম দে বলেন, এপ্রিলে তার মিটারে বিল হয়েছিল ৪৯০ টাকা, আর মে মাসে বিল হয়েছে ১৩০৭ টাকা। কপিলমুনির শেখ আব্দুল আলীম বলেন, তার মিটারে এপ্রিলে বিল হয়েছিল ১,১০০ টাকা, আর মে মাসে বিল হয়েছে ২,৪৭৫ টাকা। কপিলমুনির নাছিরপুর গ্রামের শেখ সুজাউল আলমের মিটারে এপ্রিল মাসে বিল হয়েছিল ১৯৬ টাকা আর মে মাসে বিল হয়েছে ৪,৫১৬ টাকা।
এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের পাইকগাছা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মে মাসে প্রচন্ড গরম ছিল, আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎও দিয়েছি যার ফলে বিল বেশি হতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.