গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : আড়াই বছর ধরে গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে রেখেছে অদৃশ্য এক ভাইরাস, নাম ‘কোভিড ১৯’। কোন কোন মাধ্যমে ছড়াতে পারে মহামারি এই ভাইরাস, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা এবং আলোচনার শেষ নেই৷
২০২০ সালের মার্চে সারা বিশ্বে করোনা হানা দেওয়ার পর সিঙ্গাপুরের একটি গবেষণা সংস্থা জানিয়েছিল, শুধু হাঁচি, কাশি বা কারও স্পর্শ থেকে নয়, গরমের আরাম এয়ারকন্ডিশন মেশিনের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই মারণ ভাইরাস।
পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব হিটিং রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার বিশেষজ্ঞদের করা এক গবেষণায়ও উঠে আসে একই তথ্য। তাহলে কি এসি চালানো যাবে না? অবশ্যই যাবে। এ বিষয়ে ২০২০ সালের এপ্রিলে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে ভারতীয় ওই সংস্থাটি।
মূলত সে সময় একটি পরীক্ষা চালিয়েছিল ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিসিজ। তিনজন করোনা রোগীকে রাখা হয়েছিল এমন একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের এয়ার ডাক্টের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সন্ধ্যান পায় তারা। এই ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ে।
এর পরই এসি চালানোর ব্যাপারে একটি গাইড লাইন দেয় ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব হিটিং রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার বিশেষজ্ঞরা। তারা জানায়, ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় করোনার সংক্রমণ কম হয়। এছাড়া আপেক্ষিক আর্দ্রতা রাখতে হবে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে।
ওই গাইড লাইনে আরও বলা হয়, একটানা দীর্ঘ সময় এসি চালিয়ে না রেখে বিরতি দিয়ে চালাতে হবে। এসি চালানোর পর ঘরের জানালা হালকা খোলা রাখতে হবে। এর ফলে ঘরের ঠান্ডা হাওয়ার সার্কুলেশনের সঙ্গে বাইরের হাওয়া একটু ঘরে ঢুকবে এবং ভেতরের হাওয়া কিছুটা বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
ঘরের আপেক্ষিক আর্দ্রতা কখনোই ৪০ শতাংশের নীচে নামতে দেওয়া যাবে না। লকডাউনের সময় যেসব অফিস কয়েক মাস বন্ধ ছিল, অফিস খোলার পর সেগুলোর এয়ার সার্কুলেশন ভালোভাবে করাতে হবে। কারণ, বদ্ধ জায়গায় ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্রুত কাজ করে
সংস্থাটি দাবি করে, তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতার সঙ্গে সংক্রমণের একটি বিস্তর যোগাযোগ রয়েছে। এই অ্যাডভাইজরিটি তৈরি করতে একটি টাস্ক ফোর্স কাজ করে। ‘কোভিড ১৯’ রুখতে মূলত কত তাপমাত্রা প্রয়োজন, তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা ছিলেন ওই কমিটিতে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.