সারাবিশ্ব ডেস্ক : ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে সাংসদ আনারের খুনের রহস্য। খুনের কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিমের দেহ বা দেহাংশের। এত দিনের তল্লাশির পরও সাংসদের দেহাংশ মেলেনি এখনও। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছেছে সিআইডি। কিন্তু এখনও কোথাও মেলেনি দেহাংশ। বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধানের অনুরোধ, যে আবাসনে ছিলেন সাংসদ, সেখানকার বাথরুমের কমোডের ফ্রাশের নিকাশিও পরীক্ষা করে যেন দেখা হয়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, বাথরুমে গিয়ে ফ্লাশ করা হয়ে থাকতে পারে সাংসদের দেহের টুকরোগুলি।
মঙ্গলবার দেহাংশর খোঁজে এবার সাংসদ যেখানে খুন হয়েছেন, সেখানকার নিকাশি পাইপ পরীক্ষা করা শুরু করলেন গোয়েন্দারা। দেখা হচ্ছে, পাইপও। ধৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে মেলা তথ্য সূত্র ধরে নিকাশি পাইপ ছাড়াও, সেপটিক ট্যাঙ্কও পরীক্ষা করছে সিআইডি। কোনভাবে দেহাংশ পাইপ বা বাথরুমে ফ্ল্যাশ করে বাইরে বার করে দেওয়া হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন গোয়ান্দারা। এছাড়া আবাসনের উল্টোদিকে বাগজোলা খালেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, আবাসনের বাথরুমের পাইপ খুলে খুলে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা জঙ্গল সাফ করে খোঁজাখুঁজি চালাচ্ছেন সঞ্জীবা টাউনের আশেপাশে। সংলগ্ন খালেও চলছে দেহাংশের সন্ধান। খালেও নামা হতে পারে দেহের সন্ধানে।
নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে সাংসদ আনোয়ার উল আজিমকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তা বর্ণনার জন্য কোনও বিশেষণই বোধহয় যথেষ্ট নয়। সোমবার ধৃত কসাই জিহাদকে নিউটাউনের আবাসনে নিয়ে গিয়ে ঘটনার দিন কী হয়েছিল, তা শোনেন দেশের ডিবি (গোয়েন্দা) প্রধান। জিহাদের বর্ণনা অনুযায়ী, ফয়জল, আমানুল্লাকে নিয়ে যখন সাংসদ ঢোকেন তখন ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের ওপর তলার ঘরে ছিলেন শিলাস্তি রহমান। ফ্লাটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সাংসদের উপর ক্লোরোফর্ম দিয়ে হামলা চালানো হয়। অচৈতন্য হয়ে গেলে রান্নাঘর সংলগ্ন একটি জায়গায় শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। জিহাদের দাবি, ওই জায়গার সিসিটিভি আগে থেকেই (৭ মে) শিলাস্তি রহমান কাপড় এবং লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। এরপর রান্নাঘরে দেহ নিয়ে গিয়ে টুকরো টুকরো করা হয়। ধৃত শিলাস্তির দাবি, খুনের সময় তিনি উপরের ঘরে ছিলেন। নীচে নেমে সাংসদকে আর দেখেননি। জিহাদের দাবি, দেহ টুকরো টুকরো করার পর মাংস ও হাড় আলাদা করে একাধিক প্যাকেটে ঢোকানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, বিকেল ৪টা নাগাদ সাংসদের ফ্লাটের বাইরে রাখা জুতো ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। জিহাদ দেহাংশ এবং চপারের মতো খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ওই আবাসন থেকে বেরিয়ে ভাঙড়ের বাগজোলা খালের কৃষ্ণমাটি ব্রিজের কাছে ফেলে।
সুত্র---- এপিবি আনন্দ
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.