হাফেজ মাওলানা আবুল হাসান : জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল জুমার নামাজ। জুমার নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি অলসতা করে ধারাবাহিকভাবে তিনটি জুমার জামাতে অনুপস্থিত থাকে, আল্লাহ তা’আলা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন। (সুনানে নাসাঈ: ১৩৭২) অর্থাৎ সেই অন্তর হেদায়াত পাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়।
জুমার নামাজে দেরি করে যাওয়া কিংবা দায়সারাভাবে জুমা আদায় করাও জুমার ব্যাপারে অলসতা হিসেবে গণ্য হতে পারে; তাই এ ব্যাপারে সবার সাবধান হওয়া উচিত।
জুমার দিন খুতবার আগেই মসজিদে চলে যাওয়া উচিত। জুমার আজানের পর দুনিয়াবি কাজকর্ম করার ব্যাপারে কোরআনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। দ্রুত মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা: ৯)
তাই জুমার আজান হয়ে গেলে মসজিদে চলে যাওয়া, সব দুনিয়াবি কাজ বন্ধ করে দেওয়া কুরআনের সরাসরি নির্দেশে ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য।
জুমার ফরজ নামাজ দুই রাকাত যা জামাতে আদায় করা হয়। জুমার সুন্নতে মুআক্কাদা নামাজ আট রাকাত; জুমার ফরজ নামাজের আগে চার রাকাত, পরে আরও চার রাকাত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন জুমার ফরজ পড়ে, তখন সে যেন জুমার পর চার রাকাত নামাজ পড়ে নেয়। (সহিহ মুসলিম: ৮৮১) সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে তিনি তার ছাত্র ও অনুসারীদের জুমার আগে চার রাকাত ও জুমার পরে চার রাকাত নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিতেন। তাই এ আট রাকাত সুন্নতে মুআক্কাদা নামাজ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আদায় করা উচিত।
জুমা পরবর্তী চার রাকাত সুন্নতে মুআক্কাদা নামাজের পর ভিন্ন সালামে আরও দুরাকাত নামাজ আদায় করাও সুন্নত। তবে এ দুরাকাত সুন্নতে মুআক্কাদার অন্তর্ভুক্ত নয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.