গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : ২০২৩ সালে সমৃদ্ধিতে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। তবে স্বাধীনতা সূচকে দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক আটলান্টিক কাউন্সিলের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি কেন্দ্রের ‘ফ্রিডম এন্ড প্রসপারিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন থেকে যৌথভাবে আয়োজিত ‘প্রসপারিটি এন্ড গুড গভর্নেন্স’ শীর্ষক সম্মেলনে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালের হিসেবে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম। এ তালিকায় ভারতের অবস্থান ১০৪তম এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১১৩তম।
অন্যদিকে স্বাধীনতা সূচকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক আইনি ব্যবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৪১তম স্থানে রয়েছে। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারত ১০৪তম ও পাকিস্তান রয়েছে ১১৩তম অবস্থানে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের সমৃদ্ধি সূচকের তালিকা করার জন্য স্বাস্থ্য, বৈষম্য, পরিবেশগত অবস্থা, সংখ্যালঘু অধিকার এবং শিক্ষাসহ মাথাপিছু জিডিপির মতো বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করা হয়েছে। আর স্বাধীনতা সূচকের তালিকা করার জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আইনি অবস্থার পরিমাপ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসচ্ছল’ এবং স্বাধীনতা সূচকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরাধীন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি।
সম্মেলনের মূল বক্তা আটলান্টিক কাউন্সিলের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি কেন্দ্রের পরিচালক জোসেফ লেমোইন প্রতিবেদনের মূল ফলাফলগুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘তথ্যগুলো থেকে দেখা যায়, অধিক স্বাধীনতার দেশগুলো বেশি সমৃদ্ধি উপভোগ করে এবং কম স্বাধীনতার দেশগুলোর সমৃদ্ধি নিচের দিকে৷ একটি দেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উন্নত করে একটি শক্তিশালী আইনি পরিবেশ তৈরি করার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি স্বাগত জানাতে পারে।’
লেমোইন আরও বলেন, ‘অধিক স্বাধীন দেশগুলো কম স্বাধীন দেশের তুলনায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি পায়। সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক প্রস্তাব করে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার মূল চাবিকাঠি।’
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, সরকারের প্রতিনিধিগণ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.