চিন্ময় ঘোষ, কেশবপুর থেকে : মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে যশোরের কেশবপুর উপজেলা পাবলিক ময়দান শেখ মিনি রাসেল স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মঙ্গলবার সন্ধায় মোমবাতি প্রজ্বলন ও বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারী) রাত ১২টা ১ মিনিটের একুশের প্রথম প্রহরের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে মায়ের ভাষাকে রক্ষা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছিলেন বাংলার সূর্যসন্তান সালাম, বরকত, রফিক, জববারসহ নাম না জানা অনেকেই।

আত্মত্যাগের মহিমায় স্বরনীয় এই দিনটি শ্রদ্ধা-স্মরণের মাধ্যমে শুরু হয় বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) শহীদ মিনারে নামে মানুষের ঢল। নানা শ্রেণী পেশার মানুষ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে সেইসব শহীদদের যারা ভাষার জন্য উৎসর্গ করেছেন প্রাণ।এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতি বছরের মতো এবারও সন্ধ্যায় আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ৯০-যশোর-৬ কেশবপুর সংসদ সদস্য মোঃ আজিজুল ইসলাম এমপি উদ্বোধন করেন। রাত ১২টা ১ মিনিটের একুশের প্রথম প্রহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার পর একে একে উপজেলা প্রশাসন, বংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেশবপুর উপজেলা শাখা ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সংগঠন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদের মিলনায়াতনে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। সার্বিক অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন।

উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু’র সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্বজীব সাহা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু, কেশবপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আলম, কেশবপুর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌহিদুজ্জামান, শিক্ষার্থী আনিকা জামান প্রাপ্তী,খাদিজা পারভীন জিন্নাত ও নারায়নপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুরসালিন প্রমূখ।

এসময় সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিক, সূধী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পাবলিক ময়দান শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।