সাঈদ ইবনে হানিফ : চলতি শীতের মৌসুমের গত কয়েক দিন যাবত যশোর জেলাসহ আশপাশ এলাকায় সর্বোচ্চ শীতের দাপট শুরু হয়েছে। যার প্রভাব থেকে বাদ পড়েনি বাঘারপাড়া উপজেলা।

২২ জানুয়ারি সোমবার জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাড় কাপানো এই শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে উপজেলার মানুষ সহ সব ধরনের প্রানী। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সকল প্রকার কাজকর্ম। এমন প্রতিকূল অবস্থার কারণে ২৩ জানুয়ারি থেকে কয়েক দিনের জন্য যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার স্কুল মাদ্রাসা গুলো যথারীতি চালু না রেখে একপ্রকার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, নির্দেশনা রয়েছে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, ভোর থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাঘারপাড়া উপজেলার সব এলাকাতে ঘন কুয়াশার সাথে ঝিরিঝিরি বাতাস শীতের প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে কৃষক সহ সব শ্রেণির মানুষ তাদের কর্মস্থানে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারছেনা। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।

বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতিতে শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুল, মাদ্রাসায় পাঠানো নিয়ে শংকাজনক অবস্থায় রয়েছে অভিভাবক মহল। শিক্ষক মহল জানিয়েছেন, শীতের প্রকোপের কারণে ক্লাস রুটিন মেনে পাঠদান কার্যক্রম কঠিন হয়ে পড়েছে। পল্লী চিকিৎসকগন বলেন, সম্প্রতি, ঠান্ডা জনিত রোগের উপসর্গ নিয়ে অনেকে চিকিৎসার জন্য চেম্বারে আসছেন, এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।

উপজেলার ঘোষনগর-বাগডাঙ্গা, রাধানগর, জামালপুর এলাকার কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শীতের কারণে তারা সকালে মাঠের কাজকর্মে যেতে পারছে না। এতে বেশি বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে দিনমজুর শ্রেণির মানুষের। সকালে কাজে যোগদিতে না পারায় প্রায়ই দিন তারা কাজ হারাচ্ছে। এমন অবস্থা আরও কিছু দিন থাকলে তাদের সংসারে টানা পোড়েন আরও বেড়ে যাওয়ার আশাংঙ্কা রয়েছে।