সানজিদা আক্তার সান্তনা : পৃথক মাদক মামলায় শার্শার দুই জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, শার্শার বেনাপোল অগ্রণী ব্যাংক এলকার রফিকুল ইসলামের ছেলে জাহান্দার আলম হিমু ও কন্যাদহ গ্রামের মজনু মিস্ত্রীর ছেলে রাজু হোসেন।

সোমবার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক ও অতিরিক্তি দয়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন পৃথক রায়ে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মুস্তাফা রাজা ও অতিরিক্তি পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৩ জুন কোতয়ালি থানা পুলিশ যশোর-বেনাপোল সড়কের তেঘরিয়া মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করে জাহান্দারী আলম হিমুর দেহ তল্লাসী করে হাটুর নিচে এ্যাংলেট দিয়ে বাধা ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই মিজানুর রহমান আটক হিমুকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আসামি হিমুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাব্বিরুল আলম। জাহান্দার আলম হিমুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত জাহান্দার আলম হিমু পলাতক রয়েছে।

এদিকে, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি শার্শা থানা পুলিশ কন্যাদহ বাজারে অভিযান চালায়। পুলিশ দেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে রাজু হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় তার দেহ তল্লাসী করে প্যান্টের পকেট থেকে ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই আনোয়ারুল আজিম বাদী হয়ে আটক রাজু হোসেনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে এসআই রফিকুল ইসলাম রাজু হোসেনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজুর উপস্থিতিতে অতিরিক্তি দয়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।