নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রচণ্ড কুয়াশা, সামান্য বৃষ্টি ও শৈত্য প্রবাহের কারণে বেনাপোল বন্দরের পণ্য উঠানামার স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে বৃষ্টির পর উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় ঠাণ্ডার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা স্বাভাবিক কাজ করতে পারছেন না।

বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন-৯২৫ এর সভাপতি রাজু আহম্মেদ রাজু বলেন, “প্রচণ্ড শীতের কারণে হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা স্বস্তিতে কাজ করতে পারছেন না।কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় শ্রমিকরা কাজ এগিয়ে নিতে পারছে না।”

বারোপোতা গ্রামের বন্দর শ্রমিক আব্দুস সেলিম বলেন, ‘তীব্রশীতে ঘর থেকে বের হতেই পারছি না। যদিও বের হচ্ছি কাজের জন্য কিন্তু কোনো কাজই ঠিকমতো করতে পারছি না।’

হ্যান্ডেলিং শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, উত্তরের কনকনে হাওয়ার পাশাপাশি সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও তাতে তেজ থাকছে না। এতে হাত পা অবশ হয়ে আসছে। এমন শীতের কারণে বন্দরে স্বাভাবিক কাজ করতে পারছি না।

বন্দর শ্রমিক আব্দুল জব্বার বলেন, “কিছুদিন থেকে খুব ঠান্ডা,বন্দরের কাজ করতে খুব কষ্ট হইছে। আজ আরও ঠান্ডা বেশি হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। যতই শীত ও ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ করায় লাগে আমাদের। না হলে পেটে ভাত জুটে না।”

বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন-৮৯১ এর সভাপতি আক্তারুজ্জামান বলেন, সপ্তাহখানেক ধরে হাড়কাঁপানো শীত তো আছেই, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এতে হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা কষ্ট করে হলেও বন্দরে এসেছে তবে শেডে স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না।

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজি বলেন, ঘন কুয়াশায় দুপুর পর্যন্ত অন্ধকারাছন্ন থাকছে রাস্তাঘাট। এতে সময়মত রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে পৌঁছাতে পারছে না।যে কারন প্রচন্ড শীতে আমদানি রপ্তানি বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল ইসলাম বলেন, “বন্দরে পণ্যজট কমাতে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহের কারনে বন্দর অভ্যন্তরে কিম্বা ওপেন ইয়ার্ডে হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।”

গত কয়েকদিন ধরে কুয়াশা ও শীত বেড়েছে ফলে আমদানি রপ্তানিতে এর প্রভাব পড়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পণ্যবাহি ট্রাক আসছে দেরীতে। তবে বন্দরের অফিসিয়াল কাজকর্ম স্বাভাবিক ভাবে চলছে বলে জানান তিনি।