নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোরের ৬টি আসনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ২৭৫টি। এছাড়া, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, সেনা সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা বাহিনীর ১৬ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এদের মধ্য নির্ধারিত পুলিশ সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে বডি ক্যামেরা ব্যবহার করবেন।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সদস্যদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার এতথ্য জানান। সকাল ৯টায় যশোর পুলিশ লাইন মাঠে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যদার কর্মকর্তাসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। এসময় তাদেরকে ভোটারদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদানের ব্যবস্থা করা এবং শতভাগ নির্বাচনি সরঞ্জাম ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালে কোনো প্রার্থী ও তার সমর্থকদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা ও ভোটের দিন দুপুরে শুকনো খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ব্রিফিংয়ে। এজন্য প্রত্যেককে মাথাপিছু ১ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।
পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হলেও আমরা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি না। পুরো যশোর জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে ২ হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য, ১০ হাজার আনসার সদস্য, ৪৫০ বিজিবি সদস্য, সেনা সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা বাহিনীর ১৬ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, যেসব দুষ্টু প্রকৃতির লোক ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদানসহ নানা অপতৎপরতার চিন্তা করছেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
ব্রিফিংয়ে পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ও জেলা আনসার কমান্ডেন্ট সঞ্জয় সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোছাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.