আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ স্বামীর জামিন ও বিয়ে মেনে নেওয়ার দাবীতে নন্দিনী নামে ১০ম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রী অনশন শুরু করেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাগমারী গ্রামের তবিবর রহমানের বাড়িতে।
বৃহস্পতিবার সকালে সে স্বামীর বাড়িতে এসে ওঠে। নন্দিনী একই উপজেলার উজ্জলপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে। স্কুল ছাত্রী নন্দিনীর অনশন ও অবস্থানের খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের মানুষ কাগমারী গ্রামে মাসুদের বাড়িতে ভীড় জমায়। এদিকে পিতার দায়ের করা অহরণ মামলায় স্বামী মাসুদ রানা কারাগারে আছে। ফলে স্বামীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে পিতৃালয় ত্যাগ করে চলে আসে সে।
নন্দিনী অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহের একটি আদালতে তার ও মাসুদ রানার বিয়ে হয়। কিন্তু মাসুদের সঙ্গে এই বিয়ে তার পিতা আনিছুর রহমান মেনে নেয়নি। এর আগেও সে বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়িতে চলে আসে। এখানে এসেছে সে সংসার করেছে। নন্দিনীর অভিযোগ, যতবারই সে এসেছে ততবারই পিতা তাকে বেদম মারধর করে নিয়ে গেছে। তার স্বামী নির্দোষ ও তাকে কেউ অপহরণ করেনি বলে নন্দিনী জানায়।
কাগমারী গ্রামের ভোলা মিয়া জানান, মাসুদের সঙ্গে নন্দিনীর বিয়ে হয়। কিন্তু এই বিয়ে তার পিতা মেনে নেয়নি। মেয়েটি একাধিকবার ছেলের বাড়িতে চলে আসে। প্রতিবার মেয়ের পিতা ধরে নিয়ে যায়। সর্বশেষ বুধবার মহেশপুর থানায় একটি সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকে নন্দিনী তার স্বামীর বাড়িতে আসতে চাই, কিন্তু বাধ সাধেন তার পিতা আনিছুর রহমান। অবশেষে মেয়ের পিতার অপহরণ মামলায় মাসুদ রানাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ভোলা মিয়া বলেন, মেয়টি ছেলের সঙ্গে সংসার করার জন্যই চলে এসেছে। কিন্তু তার পিতা ও পরিবার বিষয়টি কোন ভাবেই মানছে না। ফলে পিতার বাধা উপেক্ষা করে মেয়েটি আবারো তার স্বামীর বাড়িতে চলে এসেছে। এ বিষয়ে মহেশপুরের ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। সেই মামলায় মাসুদ রানা কারাগারে আছে। বিষয়টি আরো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.