নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘৮৪ লাখ টাকার লটারি পুরস্কার!’—এই প্রলোভনে পড়ে প্রবাসী সুজন ইসলাম হারিয়েছেন প্রায় ৯ লাখ টাকা। আর এই প্রতারণার নেপথ্যে থাকা কিশোর প্রতারক রনি ইসলামকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে যশোর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সৌদি আরবে কর্মরত মো. সুজন ইসলাম একদিন ফেসবুক মেসেঞ্জারে অচেনা এক আইডি থেকে বার্তা পান। প্রথমে সাধারণ খোশগল্প, ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব এবং একসময় খবর আসে—“আপনি থাইল্যান্ডের একটি আন্তর্জাতিক লটারিতে প্রথম হয়েছেন, পুরস্কার ৮৪ লাখ টাকা!”
প্রতারণাকারী নিজেকে লটারি সংস্থার প্রতিনিধির পরিচয়ে এমন সব কাগজপত্র ও যুক্তি তুলে ধরে, যা দেখে সুজন ধোঁকা খেয়ে যান। পরে বলা হয়, টাকা পেতে হলে প্রথমে ‘ভ্যাট ও কাগজপত্র ফি’ বাবদ ১০ লাখ টাকা পাঠাতে হবে।
বিশ্বাসে ভর করে, দেশের দড়াটানার বিভিন্ন বিকাশ দোকান ঘুরে তিনি ৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা পাঠিয়ে দেন ওই প্রতারকের মোবাইল নম্বরে। কিন্তু এরপরই সেই ‘বন্ধু’ হাওয়া। ফোন বন্ধ, মেসেজে উত্তর নেই—তখনই হুঁশ ফেরে প্রবাসী সুজনের।
সুজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নামে ডিবির সাইবার টিম। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তারা শনাক্ত করে প্রতারক রনি ইসলামকে। গত (১৪ জুন) নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার পানিয়ারের পুকুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় রনির কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি ইসলাম (২২) নিজের অপরাধ স্বীকার করে বলে জানায় ডিবি। সে একাধিক ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিদের টার্গেট করে এ ধরনের লটারি প্রতারণা করতো।
আটক রনি ইসলাম নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ পানিয়ার গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মহুবার রহমানের ছেলে। তাকে আজ সোমবার (১৬ জুন) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ , ই-মেইল: ই-মেইল নং : gsongbad440@gmail.com , মোবাইল-০১৭১১-৩৫৯৬৩১
Copyright © 2025 gramersongbad.com. All rights reserved.