নিজস্ব প্রতিবেদক : শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকদের ১০৩ কোটি টাকা দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। তবে ১০৬ জন শ্রমিক চাইলে শ্রম আদালতে গিয়ে মামলা করতে পারবেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে, নিম্ন লেবার অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায়টিকে অবৈধ বলেও ঘোষণা করেছেন আদালত।
৩০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল খারিজ করে এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১০৬ জন কর্মচারী শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে সরাসরি মামলা করেছেন— ইন্টারপ্রিটেশন মামলা। তাদেরকে টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন, তারা লেবার কোর্টে যাননি।
তিনি বলেন, ইন্টারপ্রিটেশন মামলা করতে হলে দুই পক্ষের ভেতর চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে হয়। কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি। তারা শুধু আবেদন করেছেন, আমরা বলেছি টাকা পাবে না। এটাকে চ্যালেঞ্জ করে তারা আদালতে যাবে। তা না করে তারা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে গিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, এই ট্রাইব্যুনালের ২৩১ ধারায় শ্রম আইনে চুক্তি ও এর বিরোধ দেখা দিলে এটার নিষ্পত্তি দেবে। কিন্তু কোনো চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও রায় হয়েছে। এখন হাইকোর্ট বলেছেন, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় অবৈধ।
এর আগে, গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ জন শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে গত ৩ এপ্রিল রায় দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
পরে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট।
এরপর ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.