জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ নভেম্বর ২, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 952 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার কথা বলে বিএনপি সন্ত্রাস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য বিএনপিকে শাস্তি পেতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি কথা দিয়েছিল তারা ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে। কিন্তু তারা কথা রাখেনি, সন্ত্রাস করেছে। সাংবাদিকদের নির্যাতন, পুলিশের ওপর আক্রমণ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে।’
বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস—বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলনে বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতা বিরোধীদের কোনো অধিকার নেই মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা দেশের মধ্যে জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করে দেশের মধ্যে তাদের কোনো অধিকার নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্যাংশন নিয়ে নানা রকম নাটক চলছে। বিদেশির পেছনে পেছনে আর যেন ঘুরতে না হয়, এজন্য আমরা টাকা পে চালু করছি। এটা চালু হওয়ায় বিদেশি বা অন্য কোনো কোম্পানি টাকা নিতে পারবে না।’
নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ চারবার ক্ষমতায় আসায় দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। এসময় সাংবাদিকদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
বিএনপির হামলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুশীল তারা চুপচাপ। যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে তারা কেন চুপচাপ। যারা একসময় লুটপাট করছে তারা অনেকেই মানবাধিকারকর্মী। তারা কেন এখন কথা বলে না। অথচ আওয়ামী লীগের পান থেকে চুন খসলেই নানা কথা বলে। এখন কেন সুশীলরা চুপচাপ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যেভাবে হামলা করছে, সেভাবে বিএনপি বাংলাদেশে হাসপাতালে হামলা করছে। তারা এসব ইহুদিদের কাছ থেকে শিখে আসছে কি না…।’
‘তারা বলছিল শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে। কিন্তু আমরা কি দেখলাম। সাংবাদিকদের মাটিতে ফেলে পেটানো হলো.. এটা এর আগে কখনো হয়নি। বিএনপি পুলিশকে হত্যা করলো। যেভাবে তারা তাণ্ডব করে সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা করলো, যা আগে কখনো ঘটেনি।’
বিএনপির উদ্দেশ্য খারাপ ছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যেভাবে হামলা করলো এটা হলো তাদের চরিত্র। বিএনপির আমলে প্রেসক্লাবে পুলিশ ঢুকিয়ে সাংবাদিকদের পিটিয়ে ছিল। বিএনপি যেভাবে সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা করছে এর জন্য বিচার পেতেই হবে।’
সরকার ২৮ অক্টোবর আহত সাংবাদিকদের সকল চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ যা করার দরকার তাই করবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা মালিকদের দায়িত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তারা বন্ধ করলে দুঃখজনক। ৯ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন দশম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় কাজ চলছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্যও ওয়েজ বোর্ড করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে সেটা বৃথা যেতে পারে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আমাকে দেশে আসতে দেয়নি।’
‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর সাংবাদিকদের জন্য ব্যাপক কাজ শুরু করেছিলেন। আমি যখন আপনাদের (সাংবাদিক) মাঝে আসি, আমি তো সাংবাদিক পরিবারের একজন। আমি ক্ষমতায় আসার পরে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেল ও পত্রিকার সৃষ্টি হয়। অনেক উন্নত দেশেও এত চ্যানেল ও পত্রিকা নেই। এছাড়া আরও ১৫টি চ্যানেল চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশ মুক্ত গণমাধ্যমের দেশে পরিণত হয়েছে।’
বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি সম্মেলন পরিচালনা করেন বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ।