নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মহাখালীতে খাজা টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে আরো দুইজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হলো।
তারা হলেন-রফিকুল ইসলাম (৬৩), আকলিমা রহমান (৩৩) ও হাসনা হেনা (২৭)।
প্রথমে রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসনা হেনা (২৭) নামের এক নারী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তিনি ওই ভবনে অরবিট নামের একটি ইন্টারনেট সার্ভিস কোম্পানির সেলসে কাজ করতেন। মহাখালি মেট্রোপলিটন হাসপাতাল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিহত হাসনা হেনার (২৭) বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার নাজমুল হুদা জানান, নিহত মেয়েটি ৯ তলায় কাজ করতেন। আগুনের আতঙ্কে একটি তার ধরে গ্রিল টপকে নামার সময়ে ছিঁড়ে পড়ে যান।
রাত ১২টার দিকে মো. রফিকুল ইসলাম (৬২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে আসা হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রফিকুল ইসলামের ছেলে সামিউল ইসলাম বলেন, আমার বাবা খাজা টাওয়ারে ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। আগুন লাগার পর আমার বাবা ওখান থেকে বের হতে পারেননি। পরে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সর্বশেষ রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে খাজা টাওয়ারের ভবন থেকে আকলিমা রহমান নামের এক নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
আকলিমা রহমানের মামাতো ভাই আজিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত আকলিমা খাজা টাওয়ারের রেস অনলাইন লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন।
আজিম বলেন, 'বিকাল চারটায় আমাদের ফোন দিয়ে আগুনের কথা জানিয়েছিল। সেই সময় বলেছিল সে আটকে পড়েছে। এরপর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও পাওয়া যায়নি। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটেরর দিকে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা আমার বোনের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.