আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করতে ইসরায়েলির সেনাবাহিনী ট্যাংকের সাহায্যে স্থল অভিযান শুরু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গাজায় নিরীহ জনগণের ওপর ইসরায়েলের স্থল অভিযানের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
হামাসকে নির্মূলে গাজায় টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বোমাবর্ষণের পর এই প্রথম স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
শুক্রবার কিরগিজিস্তানের রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় পুতিন বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের স্থল অভিযানে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ‘একেবারে অগ্রহণযোগ্য’ হবে। আবাসিক এলাকায় ভারী অস্ত্রসস্ত্রের ব্যবহার সব পক্ষের জন্যই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর পরিণতিও হবে ভয়াবহ। পুতিন এ সময় ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের বর্তমান উত্তেজনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ব্যর্থ নীতির প্রত্যক্ষ ফলাফল। যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের নীতিকে একচেটিয়া করার চেষ্টা করেছিল। তারা ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক স্বার্থকে বিবেচনায় নেয়নি। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমঝোতায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার জন্য রাশিয়ার প্রস্তুতির কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন পুতিন।
এর আগে ইসরায়েল সরকার গাজা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যেতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। এর পরপরই ইসরায়েলের সেনাদের পদাতিক বাহিনী ও ট্যাংক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে। একে প্রতিশোধ অভিযানের শুরু বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে তারা গাজা শহরে ‘ব্যাপকহারে’ অভিযান চালাবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকরা ফিরে আসতে পারবেন না।
ইসরায়েলের এই ঘোষণার পর গাজা শহর ছাড়তে দেখা যায় অনেক বাসিন্দাকে। তবে হামাস তাদের যার যার বাড়িতে থাকার আহ্বান জানায়। ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথাও বলে হামাস যোদ্ধারা। মসজিদের মাইক থেকেও স্থানীয়দের যার যার বাড়িতে অবস্থান করার আহ্বান জানানো হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.