আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা বাজারে মাছের দোকানের পাশে হিমায়িত মাংস বা মাংস পলিথিনে করে বিক্রি করছে মাংস বিক্রেতা আব্বাস আলীর।
খোলা বাজারে প্রতি সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার হাটের দিন। হাটের এই দুই দিন আব্বাস আলী গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করলেও অন্য দিন গুলোতে তিনি ১ কেজি, ২ কেজি ও ৫ কেজি ওজনের পলিথিনে রাখা হিমায়িত মাংস বিক্রি করে থাকেন। এই মাংস তিনি কোথায় পান এমনটা অনেকের প্রশ্ন। খাবার উপযোগী কিনা এসব প্রশ্ন সাধারন ক্রেতাদের মনে ঘুরপাক খাই সব সময়। প্রতি কেজি হিমায়িত মাংস তিনি বাজারদর থেকেও ৫০ থেকে ১০০ টাকা কম মূল্যে বিক্রি করেন। দিন রাত ২৪ ঘন্টা তার নিকট হিমায়িত মাংস পাওয়া যায়।
অনেকের অভিযোগ আব্বাস আলী স্বাস্থ্যসম্মত নয় আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগা গরু রাতের আঁধারের জবাই করে সেই মাংস হিমায়িত করে বিক্রি করে। অনেক ক্রেতা বলছেন হিমায়িক মাংস কিনে বাড়িতে যেয়ে দেখেন দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাংস বিক্রির সার্বিক বিষয় গুলো দেখভাল করার দায়িত্ব থাকলেও তা সঠিকভাবে করা হচ্ছে না বলেও তারা অভিযোগ করেন। অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশ ও হিমায়িত মাংস বিক্রির জন্য যেসব নিয়ম নীতি মানা প্রয়োজন আব্বাস আলী তার কিছুই মানেন না। যে কারণে ভোক্তা সাধারণের মনে এখন তার বিক্রিত মাংসের গুনমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আব্বাস আলীর মাংসের দোকানে দেখা যায় ফ্রিজের মধ্যে পলিথিনে করে অনেক গোশত হিমায়িত করে রাখা আছে। মাংস কিনতে আসা কালীগঞ্জ উপজেলার খালকুলা গ্রামের আহাদ আলী বলেন এখান থেকে ২ কেজি মাংস কিনলাম। সব সময় তো আর কালীগঞ্জ থেকে যেয়ে গোশত কিনে আনা সম্ভব হয় না। হাতের কাছে যেমন পাঁচ্ছি তেমন কিনছি। তবে কিসের গোশত কিনছি তা তো আর নিজের চোখে দেখতে পাঁচ্ছি না।
কালীগঞ্জ উপজেলা পশু চিকিৎসক হাবিবুর রহমান জানান, পূর্বের চেয়ারম্যান সাহেবের আমলে নিয়ম মেনেই গরু জবাই করা হতো এবং টাটকা মাংস বিক্রি হতো। এখন কেউ জানে না, দেখে না কি গরু জবাই হচ্ছে।
কোলা বাজারের মাংস বিক্রেতা আব্বাস আলী বলেন, এক গরু জবাই করে চার-পাঁচজন ভাগ করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়। অবিক্রিত মাংস থাকে না বললেই চলে, যতটুকু থাকে তা ফ্রিজে রেখে বিক্রি করি। অনেক সময় জবাই করার আগের দিন গরু দোকানের সামনে বেঁধে রাখা হয়। আগে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলেও এখন তা করা হয় না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার নামে নানা অভিযোগ দিতে পারে, যা সত্য নয়। কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, পূর্বে কিছু সমস্যা থাকলেও বর্তমানে আমি নিজে মৌলভী ঠিক করে দিয়েছি গরু জবাইয়ের জন্য। তবে পলিথিনে যে মাংস বিক্রি করে তা কি ধরনের পশুর এবং খাবার উপযোগী কিনা তা খতিয়ে দেখব। কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুল্লাহ হাবিব জানান, মাংস বিক্রির সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে আব্বাস আলীর ক্ষেত্রে যদি নিয়মের কোনো ব্যত্তয় লক্ষ করা যায়, তবে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.