ভারতের সিকিমে ভারী বর্ষনে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন সেনা সদস্য রয়েছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত শতাধিক।
বন্যায় নিহতদের লাশ ভেসে উঠতে দেখা যাচ্ছে। কিছু লাশ ভেসে এসেছে বাংলাদেশেও। এছাড়া ভেসে আসা লাশ পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও শিলিগুড়িতে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তার ভাটি এলাকা জলপাইগুড়ির গাজলডোবা, ময়নাগুড়ি ও কোতোয়ালিতে বেশিরভাগ মরদেহ পাওয়া গেছে। এছাড়া কোচবিহারের কুচলিবাড়ি ও হলদিবাড়ি, মিলনপল্লী ও শিলিগুড়িতে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়ও লাশ পাওয়া গেছে। কয়েকটি লাশ ভেসে এসেছে বাংলাদেশের গাইবান্ধাতেও।
আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া সেনাবাহিনী অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সদস্যের মৃত্যুর তথ্য স্বীকার করেনি।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় সিকিমে। ব্যাপক বর্ষণে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ উপচে পড়ে। এতে অতিরিক্ত পানি তিস্তা নদীতে চলে আসায় হঠাৎ পানির স্তর বেড়ে যায়। তিস্তা নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
সিকিমে ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর চুংথাং বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সবগুলো গেট খুলে দেয়া হয়েছে। এতে উজানে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপরে বইছে। পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.