আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১নং গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজের সামনে প্রায় ১ কিলোমিটার খানা-খন্দে ভরা রাস্তা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে আছে শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী। সংস্কারের জন্য সরকারি প্রকল্পের টেন্ডার হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় রাস্তার নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। রাস্তা নিয়ে বিপাকে পড়েছে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসও। গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজের সামনের রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবী করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক মন্ত্রী রফিকুল ইসলামের সময় কলেজের সামনের রাস্তাটি ইটের সোলিং করা হয়। পরবর্তীতে সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের সময় রাস্তার কিছু অংশ কার্পেটিং করা হয় এবং সাবেক এমপি এ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনিরের সময় কলেজের পার্শ্ববতী এলাকায় কার্পেটিং এর কার্যক্রম হয়েছে। বর্তমান এমপি ডাঃ নাসির উদ্দিনের সময় রাস্তা সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প পাশ হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে রাস্তার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন প্রকল্প পাশ হলে পুনরায় রাস্তাটির উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। দীর্ঘদিন যাবৎ কলেজের সামনের রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে কলেজের সামনের রাস্তার কার্পেটিং ও সোলিংয়ের ইট উঠে গিয়ে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কলেজটি পাবলিক পরীক্ষার (এইচএসসি) কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এবারের এইচ এস সি’র সময় এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসে এই রোডে পড়ে গিয়ে আহত হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসক ডেকে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করানো হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই কলেজের এই রাস্তা দিয়ে জনগন চলাচল করতে পারেনা। চলাচল করতে গেলেও খানা-খন্দে পড়ে জমে থাকা ময়লা ও পঁচা পানিতে সবার কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।

গঙ্গানন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান আমিন বলেন, টেন্ডার হয়েছিল কিন্তু কাজ হয়নি বলে আবার রি-টেন্ডার দিয়েছে।

গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, আমার এই কলেজে ৪টি উপজেলার শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে। শিক্ষার্থী ও জনগনের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমি তাদের কথা চিন্তা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছিলাম। কিন্তু অদ্যবধি কলেজের সামনের রাস্তাটি সংস্কার হয়নি।

ঝিকরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার বসু বলেন, গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজের সামনের রাস্তাটির জন্য সরকারি একটি প্রকল্পে টেন্ডারে মনিরামপুরের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার পুরাতন রেটের কারণে দীর্ঘদিন কাজ না করায় সেটা বাতিল করে আবার নতুন টেন্ডারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।