আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : দ্রব্য মুল্যের লাগামহীন বাজারে আমদানি করা ফলের দামও এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। আগে কেউ কারো বাড়িতে বেড়াতে গেলে বা অসুস্থ কাউকে দেখতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল কিনে নিয়ে যেতো। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। বাজারে ফলের এত বেশি দাম যে কেনা তো দুরের কথা দাম শুনতেও ভয় লাগে।
ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত ফলের দোকানগুলোতে খোজ নিয়ে দেখা যায়, আঙুর (লাল) ৪৪০ টাকা , আঙুর (সাদা) ৪০০ টাকা কেজি, আপেল ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি, কমলা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি, মালটা ৪০০ টাকা, আনার ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, ড্রাগন ১৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, নাসপতি ৩২০ টাকা, খেজুর রকমভেদে ২৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রয় হচ্ছে। আমের সিজন শেষ হলেও কিছু আম পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো ৩০০ টাকা কেজি বিক্রয় হচ্ছে।
তবে বাজারে দেশীয় ফলের দাম কিছুটা কম আছে। দেশী মাল্টা ৮০ টাকা, পেয়ারা ৫০ টাকা, কলা ৫০ টাকা কেজি বিক্রয় হচ্ছে। আর কদবেল সাইজ ভেদে ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি পিস বিক্রয় হচ্ছে।
ফল কিনতে আসা সাহিদা বেগম জানান, তার ভাই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে দেখতে যাবেন এজন্য ফল কিনতে এসেছেন। ফলের দাম শুনে তিনি খানিকটা চুপ করে থেকে এক কেজি দেশি মাল্টা এবং আধা কজি ড্রাগন কিনে বললেন, আপেল আর আঙুর নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু অত্যাধিক দামের কারণে কিনতে পারলাম না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ফল এখন আর কেনার মত নেই।
বাসস্ট্যান্ডের খুচরা ফল ব্যবসায়ীরা জানান এখন আর ফল বেঁচে আগের মত লাভ হয়না। বেচা বিক্রিও কমে গেছে। ফলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ঝিকরগাছার পাইকারি আড়ৎদার গন বলেন, আগে ফল এলসির মাধ্যমে আসতো। তখন একটা নিয়মনীতির মধ্যে বেচাকেনা হতো। কিন্তু এখন আগের মত এলসি হয়না। এজন্যই দাম অনেক বেশি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.