বিল্লাল হোসেন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় মাদকের ভয়াবহ থাবা তরুণ যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতায় মাদকের বিস্তার ক্রমাগত ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িছে। । ভালুকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান না করাতে প্রকাশ্যেই চালাচ্ছে মাদক কারবারি গাঁজা হেরোইন ও ইয়াবা। এতে মাদকের ভয়াবহতা বর্তমানে যুবকরা অকালে ধ্বংস হচ্ছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে মাদকের বিরুদ্ধে একটি জাগরণ সৃষ্টি করতে না পারলে এই গুরুতর সমস্যা থেকে উত্তরণের কোনো পথ পাওয়া যাবে না।

নিষিদ্ধ জগতে অস্ত্রের পর মাদকই সবচেয়ে লাভবান ব্যবসা। বিশেষ করে ইয়াবা ও গাঁজা হেরোইন সহজলভ্য ও বহনযোগ্য বলে এর বিস্তার ভালুকাজুড়ে। সত্যি বলতে কি উপজেলার এমন কোনো এলাকা খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে মাদকের থাবা নেই। বিশেষ করে মেদুয়ারী ইউনিয়নে এক বিশাল জাল বিস্তার করে আছে এ মরণ নেশার ভয়াবহ সিন্ডিকেট। ভরাডোবা ইউনিয়ন, মেদুয়ারী ইউনিয়ন ও উথুরা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন মহল্লা গুলোতে রয়েছে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী। মাদকের জগতে এক সময়, হেরোইন’ নামক মরণ নেশা ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। এ পদার্থটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে নিঃশেষ করে অবধারিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। এটি খুব দামি বলে পরবর্তী সময়ে এর স্থান দখল করে নেয় ফেনসিডিল ও ইয়াবা। বর্তমান নেশাসক্ত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এ দুটি নেশাদ্রব্য বেশি জনপ্রিয়। হয়ে উঠেছে জুতার ঘাম। একে ঘিরে ভালুকা উপজেলাব্যাপী গড়ে উঠেছে বিশাল নেটওয়ার্ক।

গ্রামের প্রতিটি অঞ্চলেই মহল্লাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। তার বিষাক্ত ছোবল শেষ করে দিচ্ছে তারুণ্যের শক্তি ও অমিত সম্ভাবনা। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনের অবক্ষয়, প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির অসামঞ্জস্যতা, হতাশা এবং মূল্যবোধের অভাবের সুযোগ নিয়ে মাদক তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তরুণ সমাজের প্রতি।

এ ব্যাপারে বিশেষজনদের অভিমত যারা ইতিমধ্যেই মাদকাসক্ত হয়েছে তাদেরও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সুস্থধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বাড়াতে হবে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের সংখ্যাও। সর্বোপরি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করে যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করে এই যুদ্ধে জয়ী হতেই হবে।