এস এম মহিদার রহমান, সাতক্ষীরা ঃ সাতক্ষীরার ভোমরায় চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে ১৩ দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর থানা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে মাকসুদ খাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মাকসুদ খাঁনের ম্যানেজার মহসিনকে। নির্যাতনের শিকার ব্যবসায়ী সাউদ সাদাত শনিবার সকালে মাকসুদ খাঁন ও তার ম্যানেজার মহসিন আলীসহ পাঁচজনকে আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মাকসুদ খান সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয়া মাস্টারপাড়া এলাকার মাস্টার মাহফুজুর রহমানের ছেলে এবং ম্যানেজার মহসিন আলী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের বাসিন্দা। এ মামলার অন্য আসামীরা হলেন, মাকসুদ খাঁনের কর্মচারী আকাশ হোসেন, রাকিব হোসেন ও আজিজুল ইসলাম টপি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোহিদুল ইসলাম জানান, চট্রগ্রামের ব্যবসায়ী সাউদ সাদাতকে ১৩ দিন ধরে ভোমরায় মহসিনের বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে মাকসুদ খানের বিরুদ্ধে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাউদ সাদাতকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয় ম্যানেজার মহসিন আলীকে। শনিবার সকালে সাউদ সাদাত বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মাকসুদ খাঁন ও ম্যানেজার মহসিন আলী, কর্মচারী আকাশ হোসেন, রাকিব হোসেন ও আজিজুল ইসলাম টপিকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ইতিমধ্যে মাকসুদ খাঁন ও তার ম্যানেজার মহসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত ঃ মাকসুদ খাঁন চট্রগ্রামের হাটহাজারী এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সাউদ সাদাতকে সাতক্ষীরার ভোমরায় ১৩ দিন আটকে রেখে তার ওপর নির্যাতন করছেন বলে পুলিশের কাছে শুক্রবার অভিযোগ করেন তার স্ত্রী ফারহানা রেজা। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাউদ সাদাতকে ভোমরাস্থ মহসিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় ব্যবসায়ীর পায়ে ও শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাতের চিহৃ ছিল বলে জানা যায়।
তবে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান জানান, সাউদ সাদাতের সাথে চারমাস ধরে ব্যবসা চলছিল। লেনদেনও ভালো ছিল। তবে কোরবানি ঈদের দশদিন আগে তার কাছ থেকে এক কোটি ২৩ লাখ টাকার শুকনা মরিচ, রসুন, পেয়াজ নিয়ে আর টাকা দেননি তিনি। এবিষয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানা ও সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়। তাকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার ম্যানেজারের সাথে একসাথে একরুমে থাকতো, খাওয়া-দাওয়া করতো। ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার তার পাওনা ৫০ লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা যাতে না দিতে হয় সেজন্য তিনি এই অপহরণের নাটক তৈরী করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.