সুলতান মাহমুদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বহুল প্রতীক্ষিত ২৬ তম বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে। আসন্ন এই সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসব উদ্দীপনার তৈরি হয়েছে। ক্যাম্পাসে পদপ্রত্যাশী নেতাদের একের পর এক শোডাউন চলছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো হচ্ছে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন। তবে প্রায়ই ঘটছে ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা । এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন পদপ্রার্থী নেতারা।

গতকাল বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের সামনে গাছের সঙ্গে টাঙ্গানো সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিয়াজ মোর্শেদের একটি ফেস্টুন ও সাবাস বাংলাদেশ মাঠের পাশে একই পদে প্রার্থী মো. আশিকুর রহমান অপুর ব্যানার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে তা এখনও জানা যায়নি।

নিয়াজ মোর্শেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সভাপতি ও মো. আশিকুর রহমান অপু শহীদ হাবিবুর রহমান হলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। শাখা ছাত্রলীগের ২৬ তম সম্মেলনে তারা দু’জনই সাধরণ সম্পাদক পদে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ করে নিয়াজ বলেন, বঙ্গবন্ধু হলের সামনে আমার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হয়েছে। আমার প্রচার প্রচারণায় ব্যাঘাত ঘটাতেই মূলত দুর্বৃত্তরা এই কাজ করেছে। আমার প্রতি হিংসাত্মক মনোভাব থেকেই এগুলো করা হচ্ছে। অন্যের ক্ষতি করে কেউ নেতা হতে পারবে না। আমি এই ঘৃণ্য কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।

আশিকুর রহমান অপু বলেন, এ কেমন সংস্কৃতি? সাবাস বাংলাদেশ মাঠ থেকে আমার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। একজন মানুষ কতটা নিচু ও জঘন্য মানসিকতা ধারণ করলে এমন কাজ করতে পারে। এসব করে কি নেতৃত্ব আসা সম্ভব?

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, এখানে রাজনীতি করার সকল পার্থীরই সমান সুযোগ আছে। প্রতিহিংসা এখানে কোন ভাবেই কাম্য নয়। এই সময়ে কারো ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা একেবারেই উচিত না। আমরা যদি কারো বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট করে অভিযোগ পাই তবে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সবারই রাজনীতি করার সুযোগ আছে। কারো ব্যানার-ফেস্টুন ছেড়া কখনোই উচিত না। আমরা সবাইকে বলবো যেন মিলেমিশে কাজ করে এবং কারা এমন কাজ করছে তা প্রমাণসহ তথ্য দিতে পারলে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।