কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে প্রবল বর্ষণে সড়ক যোগাযোগ একাধিক স্থানে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।

৮ আগস্ট, মঙ্গলবার সকালের শুরু থেকে টেকনাফ-কক্সবাজার আরাকান সড়কের উপর দিয়ে বন্যার পানি একাধিক স্থানে প্রবাহিত হওয়ার কারণে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রামু উপজেলাধীন দক্ষিণ মিটাছড়ি কাড়ির মাথায় প্রায় ৫০০ ফুট, চেইন্দা বসুন্ধরা নামক স্থানে র‌্যাব-১৫, কার্যালয়ের সামনে প্রায় ৬০০ ফুট টেকনাফ কক্সবাজার যাতায়াত সড়কের উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হতে থাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে, বন্ধ হয়েছে যানবাহন চলাচল।

এসব স্থানের চেইন্দা এলাকার আশপাশে নিম্নাঞ্চলের বসতি যথা ফকিরা মুরা, কানা কোন্দাকার পাড়া, চালিয়া তলী, তেতৈয়া ছড়া, মগ পাড়া, মুক্তার কুল, জিনর ঘোনা, হরইল্যা ছড়া, সিকদার পাড়া, চর পাড়া, উমখালী, মহুরি পাড়া, উত্তর মুম্বরের চর এর সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।

প্রবল টানা বর্ষণের ফলে বাঁকখালী নদী হয়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে দেখা দেয় এ বন্যা, বিচ্ছিন্ন হয় একাধিক স্থানে সড়ক যোগাযোগ, বন্ধ হয় যান চলাচল, ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জেলা বান্দরবান এর পাহাড়ি অঞ্চল থেকে শুরু হয়ে রামু উপজেলা হয়ে কক্সবাজার পৌর শহরের পাশ ঘেঁষে সমুদ্র মোহনায় মিলিত হয়েছে এই বাঁকখালী নদী।

তাই প্রতিবছর বর্ষায় টানা ভারী বর্ষণ হলে এ নদীর আশপাশের নিম্নাঞ্চলে বন্যার দেখা মিলে, নষ্ট হয় ক্ষেতের ফসল, ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক।