স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক : একেক জনের কাছে একেক ধরনের সবজি পছন্দ। তবে প্রত্যেক সবজিরই আলাদা গুণাগুণ রয়েছে। বাঙালি পটলকে যতই তাচ্ছিল্য করুক না কেন বিজ্ঞান বলছে অন্য কথা। বিশেষজ্ঞদের মতে, পটল ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা থেকে ওজন কমানো, হরেক রকমের গুণ রয়েছে এতে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পটলের উপকারিতাগুলো কী-

ভিটামিন সমৃদ্ধ
আমাদের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন পড়ে ভিটামিনের। বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত খাবারের তালিকায় পটল রাখেন তবে ভিটামিনের ঘাটতি হবে না। কারণ পটলে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন। এটি আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পটল
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে পটলে। ফাইবার পাচনতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে ও মল নির্গমনে সহায়তা করে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায়
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। খাবারে অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এর বড় কারণ। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা খাবারের তালিকায় পটল রাখতে পারেন। কারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে পটল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অল্প তেল-মসলায় পটলের ঝোল রান্না করে খেলে উপকার পাবেন।

মেদ ঝরাতে কাজ করে
যারা বাড়তি মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের জন্য একটি আদর্শ খাবার হতে পারে পটল। কারণ নিয়মিত পটল খেলে তা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে শরীরকে রাখে সুস্থ। ফলে ওজন কমে সহজে। বুঝতেই পারছেন, পটল আপনার কতটা উপকার করে।

গরমে উপকারী
গরমের দিনে তরকারি হিসেবে বিশেষ উপকারী হলো পটল। এটি এসময়ে আপনার শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখতে কাজ করবে। শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর হবে এতে। হজম প্রক্রিয়া সহজ করতেও কাজ করে পটল।

পটল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় পটল থেকে। এটি একদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং অন্য দিকে জারণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বিভিন্ন ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্রিয়া থেকে দেহকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। লিভারের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্যও পটল বেশ উপকারী।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পটল
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে পটলে। ফাইবার পাচনতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে ও মল নির্গমনে সহায়তা করে।

কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে পটল
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে ও ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে পটল। ফলে হৃদ্‌যন্ত্র ভালো থাকায় স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পটল
ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য পটল ও পটলের বীজ বেশ উপযোগী। পটলে ফ্ল্যাভিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে, থাকে কপার, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে অনেক কার্যকর।