আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মানুষের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জোসে পাউলিনো গোমেস ১২৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। গত ২৯ আগস্ট ব্রাজিলের কোরেগো ডেল ক্যাফে গ্রামে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
বার্ধক্যের কারণে দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছিল গোমেসের। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, নিজের ১২৮তম জন্মদিন পালনের মাত্র ৭ দিন আগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
জোসে পাওলিনো গোমেস বিয়ে করেছিলেন ১৯১৭ সালে। যে গ্রামে তিনি থাকেন, তার নিকটবর্তী শহর পেদ্রা বনিতার একটি রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধিত হওয়া সেই বিয়ের সনদ অনুসারে, তার জন্ম হয়েছিল ১৮৯৫ সালের ৪ আগস্ট।
নিজের জীবদ্দশায় দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং তিনটি বৈশ্বিক মহামারি প্রত্যক্ষ করেছেন পাওলিনো গোমেস। তার পেশা ছিল পশুপালন।
আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের কাছে বিনয়ী ও সাধারণ মানুষ হিসেবে পরিচিত গোমেসের স্বাস্থ্যগত অবস্থা রীতিমতো অসাধারণ ছিল। পরিবারের সদস্য এবং কোরেগো ডেল ক্যাফে গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন, মাত্র ৪ বছর আগেও নিয়মিত ঘোড়ায় চেপে চলাচল করতেন তিনি।
শহর ও কোলাহল থেকে দূরে থাকতে ভালোবাসতেন গোমেস। সারাজীবন নিজের গ্রামেই কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। গ্রামে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শস্য, শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ-মাংস খেতেন; মাঝেমধ্যে মদ্যপানও করতেন গোমেস।
গোমেস তার ৭ সন্তান, ২৫ জন নাতি-নাতনি, ৪২ জন নাতি-নাতনির ঘরের ৪২ জন সন্তান এবং তাদের আরও ১১ সন্তান রেখে গেছেন বলে জানা গেছে।
জোসে পাওলিনো গোমেস মারা যাওয়ার পর বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বর্তমানে স্পেনের মারিয়া ব্রায়ানিয়াস মোরেরা। বর্তমানে তার বয়স ১১৫ বছর।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের রেকর্ড অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবন অতিবাহিত করা মানুষটির নাম জেন ক্লেমেন্ত। ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফ্রান্সের এই নারী।
খবর-হিন্দুস্তান টাইমস
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.