নিজস্ব প্রতিবেদক : কেউ রক্তচক্ষু দেখালে আওয়ামী লীগ তা জানে কী করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপি গন্ডগোল লাগানোর অপচেষ্টা করবে, কিন্তু সেই সুযোগ আমরা তাদেরকে দেব না।
মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’র শুরুতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সম্প্রচারমন্ত্রী এ সতর্কবার্তা দেন।
‘বিএনপি দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মানসে সারাদেশে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে’ উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘ক’দিন আগে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছে। আমি দেখলাম সেখানে সব ষাটোর্ধ মানুষ, সবাই প্রায় ৫০-৬০ বছর বয়সের তরুণ। মীর্জা ফখরুল সাহেব যদি তারুণ্যের সংজ্ঞাটা একটু বলতেন, তাহলে ভালো হতো।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই তাদের উদ্দেশ্য। আর আওয়ামী লীগ গণমানুষ থেকে গড়ে ওঠা রাজপথের দল, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে উজান ঠেলে এগিয়ে যাওয়ার দল। আমরা রাজপথে আছি, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। জনগণের রায় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে তারপর আমরা ঘরে ফিরে যাব।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন-কানুন অনুযায়ীই দেশ চলবে, কারো প্রেসক্রিপশনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ চলবে না, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, যার ধমনীতে শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে দিয়ে এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েও বিএনপি-জামাত ফোন করিয়েছিল। শেখ হাসিনা সেগুলোর তোয়াক্কা করেন নাই, ন্যায়বিচার বন্ধ হয় নাই, ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে।’
‘যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল এসে তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কিছু বলে নাই’ স্মরণ করিয়ে মন্ত্রী হাছান বলেন, 'নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কি পদত্যাগ করেন এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।'
চট্টগ্রাম-৭ আসনের এমপি হাছান বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন। বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেব ক’দিন পরপর চট্টগ্রামে আসছেন, এখানে এসে লাভ নাই। যদি বাড়াবাড়ি করেন আপনাদের আন্দোলন বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া হবে।’
এ সময় ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উপর কালিমা লেপনের অসৎ উদ্দেশ্যে একজন প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুস্কৃতিকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এটি করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, নোমান আল মাহমুদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সফর আলী, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.