বিশেষ প্রতিনিধি : বাজারে আগুন যেন থামছেই না। যৌক্তিক কারণ ছাড়াই একেকবার একেকটি আইটেম নিয়ে সিন্ডিকেশন করা হচ্ছে। কখনো পেঁয়াজ, কখনো মরিচ, কখনো আদা, কখনো চিনি। ব্যবসায়ীরা যে যার মতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। এ যেন এক হরিলুটের কারবার। অথচ দোকান আর গোডাউনে থরে থরে সাজানো জিনিসপত্র দেখলে কে বলবে পণ্যের সংকট রয়েছে। তারপরও বিভিন্ন অজুহাতে প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে যেন হতভম্ব হয়ে যাচ্ছেন। সরকারি বিভিন্ন তদারকি সংস্থা বিভিন্ন অজুহাতে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত না করে বরং বাজেটে তাদের বেতন বাড়িয়ে পুরস্কৃত করা হচ্ছে।
সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে হতভম্ব, অসহায়। কারও যেন কিছুই করার নেই। আয়ের সাথে ব্যয়ের যেন কোনো সংকুলান করতে পারছেন না। মাসের বাজেট দিয়ে সপ্তাহ পার করাই দুষ্কর। গরিব আর মধ্যবিত্তের হাঁসফাঁস অবস্থা যেন দেখার কেউ নেই। প্রায় প্রতিটি পরিবার বাধ্য হয়ে শুধু খাবারের বাজেট কাটছাঁট করছে। আর সঞ্চয় বা ভবিষ্যৎ বলতে যেন কিছুই থাকছে না তাদের। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ আর হাট-বাজারে ঘুরে কথা বলে এসব বাস্তব তথ্য মিলছে। আর দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়া এসব পরিবারের সংখ্যা যেন ক্রমেই বাড়ছে।
অত্যন্ত শক্তিশালী অসাধু সিন্ডিকেটের কারসাজিতে প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে। আবার চাল নিয়ে করা হচ্ছে চালবাজি। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি থেকে শুরু করে সব ধরনের সবজি, আদা-রসুন, মাছ-গোশত, চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাকে জিম্মি করা হচ্ছে। মাসের পর মাস এমন অবস্থা চললেও সরকারের একাধিক সংস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। শুধু হাঁকডাকের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.