গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯জুন) ঈদের দিন সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
পৌর শহরের রাধানগর গ্রামের ঘোষ পাড়ার মতিলাল ঘোষ জানান, সকালে সারা বাজার ঘুরেও কাঁচা মরিচ পায়নি। এক দোকানে মরিচ পেলেও বিক্রেতা ১০০০ হাজর টাকা কেজি দাম চায়। দাম শুনে আমার মাথায় যেন বাজ পড়ে। কাঁচা মরিচ তো লাগবে। পরে ৫০ টাকার মরিচ কিনে বাড়ি নিয়ে যায়।
কাঁচা বাজারে আসা মসজিদ পাড়ার নুরু মিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, ৪/৫ দিন আগেও বাজার থেকে ৪০০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। পরশু দিন ছিল ৮০০ টাকা। হঠাৎ করেই আজ বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আরো বেড়ে যায়, যা এখন কেনার সাধ্যের বাইরে।
বাজারের খুচরা কাঁচামাল বিক্রেতা নিতাই ঘোষ জানান, সকালে বাজারের সব পাইকার ঘর ঘুরেও এক কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে পারিনি। সরবরাহ না থাকার কারণেই বাজারে কাঁচা মরিচের দামের এই অস্থিরতা।
শান্তি সাহা নামের আরেক কাঁচামাল ব্যবসায়ি জানান, গত কয়েকদিন ধরেই বাজারে কাঁচা মরিচ নেই। কাঁচামাল আরতদাররা বলছে, যেখান থেকে( রাজশাহী) মরিচ আসে সেখানেই নাকি মরিচ নেই। মনে হচ্ছে ঈদের পরে দাম আরো বাড়বে। তবে ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে দাম কমে আসবে।
সড়ক বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা ও আড়তদার হারাধন সাহা হারু বলেন, ঢাকা ও কুমিল্লার কোনো মোকামেই মরিচ নেই। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমদানি শুরু হবে। তখন কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা দরে নেমে আসবে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, গ্রীষ্মকালে মরিচের আবাদ এমনিতেই কম হয়। তার উপর টানা বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের মরিচ খেত নষ্ট হয়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ার কারণেই বাজারে এই অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.