স্টাফ রিপোর্টার : ঘরের দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল আযহা। বছর ঘুরে এই দিনে ত্যাগের মহিমায় আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী করবে কোটি মুসলমান। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে গেছে সারা জাহানে। অনেকেই এরই মধ্যে কিনে ফেলেছেন পছন্দের কুরবানির পশু, পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক। ব্যতিক্রম শুধু যশোরের ঝিকরগাছার মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের পরিবারের জন্য। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঈদের বোনাস পেয়ে গেছেন অনেক আগেই। অনেকে জুন মাসের বেতনও পেয়েছেন। কিন্তু শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ বেতনের ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস সেটাও হাতে পায়নি ঝিকরগাছার অধিকাংশ শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝিকরগাছায় এমপিও ভুক্ত ২৭টি মাদরাসায় প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত আছেন। ঝিকরগাছা সোনালী ব্যাংক থেকে তাদের বেতন ভাতা উত্তোলিত হয়। গতকাল ২৬ জুন ছিলো ঈদের আগে ব্যাংকের শেষ কর্মদিবস। সরকার গত ২০ জুন বোনাসের অর্ডার জারি করলেও ব্যাংক কতৃপক্ষের অবহেলায় মাদরাসার বোনাসের টাকা তুলতে পারেননি কেউই। অথচ যশোর সদর, শার্শা, বাঘারপাড়া সহ প্রায় সব জায়গায়ই শিক্ষকদের বোনাস প্রদান করা হয়েছে।
মনিরুজ্জামান নামের এক শিক্ষক বলেন, মাত্র ২৫ শতাংশ বোনাস পাই, যেটা দিয়ে কুরবানির পশুতো দুরের কথা ঈদের বাজারই করা যায়না। এবার ঈদে সেটাও পেলামনা। এটা অত্যান্ত দুঃখজনক। কবীর হোসেন নামের একজন শিক্ষক বলেন, গতকাল বেলা তিনটার সময় ঝিকরগাছা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে গিয়েছি। তিনি বলেছেন, বোনাসের টাকা আসেনি। অন্যান্য উপজেলায় টাকা আসলো অথচ ঝিকরগাছায় আসলো না এটা কিভাবে সম্ভব? নিশ্চয়ই ব্যাংক কতৃপক্ষের গাফিলতি ছিলো।
ঝিকরগাছা সোনালী ব্যাংক থেকে মাদরাসা সহ স্কুল এবং কলেজগুলোরও বেতন ভাতা প্রদান করা হয়। কিন্তু একেবারে শেষ কর্মদিবসে বোনাস প্রদান করায় বেশিরভাগ শিক্ষকই তাদের বোনাসের টাকা তুলতে পারেননি। সঠিক সময়ে টাকা না পাওয়ায় অনেকেই ধারদেনা করে কুরবানির টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানা গেছে।
এপ্রসঙ্গে জানতে ঝিকরগাছা সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের মোবাইলে কয়েকবার কল করলেও তিনি সেটা রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য ২০০৩ সালে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য মুল বেতনের ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ দুই ঈদে দু'টি বোনাস চালু করে তৎকালীন সরকার। বিগত ১৫ বছর ধরে এই বোনাস শতভাগে উন্নীত করতে শিক্ষক কর্মচারীরা দাবী জানিয়ে গেলেও বর্তমান সরকারের এই মেয়াদের শেষ ঈদেও সেই ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস প্রদান করায় শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.