আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) পাকিস্তানে তীব্র খাদ্য সংকটের পূর্বাভাস দিয়েছে। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট আরও খারাপ হলে এর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। পাকিস্তানের সাথে সাথে আফগানিস্তানও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে বলে জানায় তারা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, খামা প্রেস এর রিপোর্ট অনুসারে সংস্থা দুটি যৌথভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়, আসন্ন মাসগুলোয় মারাত্মক খাবারের সংকট দেখা দিতে পারে। এর ফলে মৃত্যু হতে পারে অনেকের। মূলত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যখন খারাপ হতে থাকবে তখনই এই সময় আরও বাড়তে পারে। বিদেশ থেকে খাদ্য সামগ্রী আনার ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পাকিস্তানের প্রায় ৮৫ লাখ মানুষ মারাত্মক খাদ্য সংকটের মধ্যে পড়তে পারেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি, পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আর্থিক বেলআউট গত সাত মাস ধরে বিলম্বিত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচনের আগে দেশটির রাজনৈতিক সংকট এবং অস্থিরতা আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈদেশিক রিজার্ভের ঘাটতি এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন দেশটির আমদানি করার ক্ষমতা হ্রাস করছে।
অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানি সরবরাহ এবং খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশব্যাপী জ্বালানি ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে তালেবান ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতা গ্রহণ করে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
আফগানিস্তানের ৭০ শতাংশ মানুষ দুই বেলার খাবারও যথাযথভাবে পান না। মূলত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা এতটাই অস্থির যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার মতো পরিস্থিতিই নেই। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে এই দুইটি দেশ ছাড়াও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, দ্য ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, সিরিয়ান আরব রিপাবলিক, মিয়ানমারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.