যশোর অফিস ॥ যশোর টাউন হল ময়দানে শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সমাবেশে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ছুরিকাঘাতে রিয়াজ হোসেন রাজ নামে এক যুবক জখম হয়েছেন। এছাড়া সমাবেশস্থল ও আশপাশে যুবকদের বাঁশের লাঠি নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে তারা বাঁশের লাঠি নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ শুরু হলে টাউন হল ময়দানের দক্ষিণ পাশে পৌর কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের সমর্থক যুবকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে সেখানে জটলার সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন যুবককে বাঁশের লাঠি নিয়ে সেখানে যেতে দেখা যায়। তারা জটলাকে ঘিরে সেখানে অবস্থান করতে থাকেন। দুই গ্রুপের হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কি দেখতে কয়েক ব্যক্তিকে সেখানে গিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালান। মঞ্চ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি দেখতে পেয়ে তিনি মাইকে গিয়ে তাদের নিবৃত্ত হওয়ার জন্য হুঁশিয়ার করে দেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত ছিলো।

এদিকে শহরের ষষ্ঠীতলার বাসিন্দা রিয়াজ হোসেন রাজ নামে এক যুবক জানান, তিনি মঞ্চে ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার তাকে মঞ্চ থেকে নেমে সামনে যেতে বলেন। তিনি গোলাযোগ স্থানে গিয়ে উভয় গ্রুপকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালান। এ সময় আচমকা বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করা হয়। ছুরি দিয়ে তার কোমরে আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হন। শহরের গাড়িখানা রোডের বিল্লালসহ তার লোকজন তাকে মারধর এবং ছুরিকাঘাত করে। হামলাকারীরা আনোয়ার হোসেন বিপুলের লোক বলে তিনি অভিযোগ করেন। রিয়াজ হোসেন রাজ আরও জানান, তিনি বঙ্গবন্ধু ছাত্র ফেডারেশনের সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি। নিজেকে তিনি পৌর কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমনের লোক হিসেবে দাবি করেন।

অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সমাবেশে বেশ কয়েকজন যুবককে বাঁশের লাঠি নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকজন নারীকেও বাঁশের লাঠি নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।