এসএম স্বপন: বেনাপোলে পুলিশের বিশেষ নজরদারিতে অবশেষে দীর্ঘদিন পর স্বস্তি ফিরেছে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে। দালাল, ছিনতাইকারী ও প্রতারক চক্র থেকে দু দেশের পাসপোর্ট যাত্রীসহ সাধারণ মানুষকে সেবা দিতেই পোর্ট থানা পুলিশ বিশেষ এ অভিযান পরিচালনা করে চলেছেন। যার ফলে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষ, পাসপোর্ট যাত্রীসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে।
সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারত বাংলাদেশ যাতায়াত করে থাকে। এসব পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রতারনার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে টাকা, পার্টস, মালামাল বহনকারী ব্যাগসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখেন পুলিশ।
তারই ফলশ্রুতিতে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূঁইয়ার দিকনির্দেশনায় ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে প্রতিদিন নজরদারি করছেন পুলিশের চৌকস টিম। তবে নামের শেষে সাংবাদিক নামধারী দালালরা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মকান্ড।
গত কয়েক দিনের কড়া নজরদারিতে আশানুরূপ সাফল্য লাভ করাই পাসপোর্ট যাত্রীরা এখন অনেক খুশি।
বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী হামিদ সরদার বলেন, কাগজ পত্রের কাজ শেষ হয়ে গেছে এখন শুধু ওপারে ঢোকার অপেক্ষা। দালাল বা প্রতারক চক্রের কারনে আমরা এতদিন যে ভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি এখন কোন সমস্যা দেখছি না। এ বিষয়ে পুলিশের প্রতি আমরা অনেক খুশি।
ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী শ্রী পরিতোষ সরকার বলেন, আজ কোন ঝামেলা চোখে পড়েনি। পোর্ট থানা পুলিশ যে কড়া নজরদারি ও ইমিগ্রেশনে শৃঙ্খলা ফেরাতে যেভাবে কাজ করছে সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। মানুষ এখন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে।
বেনাপোল চেকপোস্টে ব্যবসায়ী কুরবান আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চেকপোস্টে দালাল ও প্রতারক চক্রের কারনে পাসপোর্ট যাত্রী ও সাধারণ মানুষ নাজেহাল অবস্থার মধ্যে ছিলো। পুলিশের উপস্থিতিতে এখন ইমিগ্রেশন শতভাগ দালাল ও প্রতারকদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পোর্ট এলাকাকে দালাল মুক্ত করতে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং এই অভিযান চলমান থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.